
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিষ্যুদবার দুপুর সাড়ে তিনটে। আদালতে গঙ্গাসাগর মেলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পরেই রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। সওয়াল জবাবে রাজ্য সরকার বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলা করার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে সাগর মেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর স্পষ্ট জবাব, সাগর মেলা হবে কি না আদালত ঠিক করবে।
কোভিড পর্বে গঙ্গাসাগর মেলার প্রয়োজনীয়তা কী তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এমনকি দ্য ওয়াল-কে কপিলমুনি আশ্রমের মোহন্ত, ভারত সেবাসঙ্ঘের প্রধানরা জানিয়েছিলেন—মানুষের জীবন আগে। তাতে মেলা বন্ধ হলে অসুবিধা নেই। তারপরেও রাজ্য সরকার মেলা করা থেকে পিছিয়ে আসেনি। এদিন বিচারাধীন সেই বিষয়কে আদালতের দিকেই ঠেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনেকের মতে, এটা একধরনের চালাকি। মেলা হলে রাজ্য সরকার বলবে আদালত অনুমতি দিয়েছে। আর না হলে বলবে আদালত দেয়নি। সেই প্রেক্ষাপটটাই এদিন রচনা হয়ে গেল নবান্নে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কী ভাবে সাগরমেলা করা যায় তার লম্বা ফিরিস্তি এদিন আদালতে দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
এদিন আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই সওয়ালের পাল্টা মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, শুধুমাত্র টলিউডের চারজন অভিনেতা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব স্থগিত করেছে রাজ্য সরকার। তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে, সেটা নিয়ে রাজ্যের কোন মাথাব্যথা নেই কেন?
বিকেল তিনটে চল্লিশ মিনিটের খবর, খানিকক্ষণের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সাগর মেলা মামলার রায় আপলোড করে দেওয়া হবে। এখন দেখার কী রায় কলকাতা হাইকোর্ট।