
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাইমারি থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। তবে চেনা চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, মাঠে বা পার্কের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস শুরু হয়েছে। চলছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। কিন্তু বেলা বাড়তে সূর্যের কড়া তেজে অস্বস্তিতে পড়ছে বাচ্চারা। তাই অবিলম্বে ক্লাসরুমে ক্লাস শুরু করানোর দাবি জানালেন অভিভাবকদের একাংশ।
শহরের পাড়ায় পাড়ায় এই ক্লাস চলছে। কেউ কেউ মাথার ওপর ত্রিপলের ছাউনি দিয়েছে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস হচ্ছে। মাথার ওপর কোনও ছাউনি না থাকায় গরমে কষ্ট হচ্ছে বাচ্চাদের।
উত্তর কলকাতার বাগবাজার সার্বজনীন পুজো মাঠেও এমন ক্লাস বসেছে। কিন্তু মাথার ওপর কোনও ছাউনি না থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায় কিছু শিশুকে। এমন ঘটনা সামনে আসতেই অভিভাবকরা প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা এমনভাবে খোলা আকাশের নিচে বাচ্চাদের ক্লাস করতে দেবেন না।
সকালের দিকে পরিবেশ মনোরম হওয়ায় অসুবিধা না হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অসুবিধা শুরু হয়। রোদ যখন ভয় দেখাচ্ছে, তখন আরেক প্ৰশ্ন দেখা দিচ্ছে। তা হল, বৃষ্টি হলে কী হবে? এমন প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে অভিভাবকদের মনে।
ওই বাগবাজার সার্বজনীন পুজো মাঠে ক্লাস করতে আসা পাঁচ বছরের মল্লিকার অসুস্থতার খবর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। শিক্ষকদের কথায়, গরমের জন্য শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়ে গেছে বলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মল্লিকা।
প্রথম থেকেই এই খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানোর ব্যাপারে আপত্তি ছিল অভিভাবকদের মধ্যে। প্ৰশ্ন ছিল তাঁদের, কেন ক্লাস রুমে স্কুল হচ্ছে না? এমনকি প্রাইমারি স্কুল পরিষদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্নার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগও জানান অভিভাবকদের অনেকেই। প্রসঙ্গত, বাগবাজারের এই মাঠে সেদিন কার্তিকবাবু উপস্থিত ছিলেন।
অনেকে আবার এও প্ৰশ্ন তোলেন যে, মাঠে ক্লাস করার মধ্যে কোথায় শারীরিক দূরত্ব বিধি? কারণ একসঙ্গে অনেক বাচ্চা একসঙ্গে থাকায় নূন্যতম দূরত্বও থাকছে না। এমন প্রশ্নও শুনতে হয় কার্তিক মান্নাকে।
শহরের নানা জায়গা থেকেই এমন নানান অভিযোগ আসতে শুরু করে। তাঁরা ক্লাস রুমের মধ্যেই ক্লাস করাতে বেশি স্বস্তিবোধ করবেন বলেও জানান।