
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ানের ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে কী হয়েছিল তা নিয়ে বরাবরই রহস্য রেখেছে চিন। সেদিনের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হলেও, চিন দাবি করেছিল তাদের তরফে মাত্র চারজনের মৃত্যু হয়। কিন্তু আসলে সংখ্যাটা য়ে এর বেশি তা জানিয়েছিল ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও।
আরও পড়ুন: ভারতের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গালওয়ানের নদীতে তলিয়ে যায় ৪২ জন চিনা সেনা, দাবি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রের
এতদিনে আসল পর্দা ফাঁস করল অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্র ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’। তাদের দাবি, সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের শক্তি দেখে ও তাড়া খেয়ে, প্রাণের ভয়ে পড়িমরি করে পালাতে গেছিল চিনা সেনারা। তা করতে গিয়েই গালওয়ানের খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দেয় তারা, সেখানেই সলিলসমাধি হয় তাদের বেশির ভাগের।
ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্নেল কি ফাবাও গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্টে ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় দলবল নিয়ে ঢুকে পড়ে। তার সঙ্গে ছিল ১৫০ জন লাল সেনার ফৌজ। খবর পেয়ে সেই এলাকায় ভারতীয় বাহিনী পৌঁছলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
প্রতিবেদনে দাবি, আলোচনার বদলে চিনা সেনারা ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। পাথর ছুড়তে থাকে। স্টিলের পাইপ, লাঠি দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত করে। এর পাল্টা জবাব দেয় ভারতের বাহিনীও। রাতভর দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে। ভারতীয় জওয়ানদের শক্তির কাছে পরাস্ত হয়ে পিছু হটতে থাকে চিনা সেনারা।
গালওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় রাতের অন্ধকারে সংঘর্ষ চরম রূপ নেয়। কয়েকজন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়, চিনেরও কয়েকজন সেনা নিহত হয়। সঙ্গীদের মৃত্যু দেখে পালাতে শুরু করে লাল ফৌজ। তিব্বতের মূল অংশে ঢোকার আগে গালওয়ান নদী পার হতে হয়। এই পাহাড়ি নদী খুবই খরস্রোতা। অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক লিখেছেন, প্রাণ বাঁচাতে কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই নদীতে ঝাঁপ দিতে থাকে চিনের সেনারা। তলিয়ে যায় বহু। মৃত চিনা সেনাদের দেহ লোপাটও করে দেওয়া হয়।
গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চিন যা বলেছিল তা পুরোটা গল্প বলেও দাবি করেছে ওই অস্ট্রেলীয় প্রতিবেদনের লেখক।