
সারা বিশ্বে যে শহরগুলিতে ওমিক্রন বেশি ছড়িয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে চিনের তিয়ানজিন। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০ জন। শহরের বাসিন্দার সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। সেখানে এখনও পর্যন্ত তিনবার গণ হারে টেস্টিং করা হয়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের উৎস চিহ্নিত করা যায়নি। তিনজিয়ানে রয়েছে সমুদ্রবন্দর এবং ম্যানুফ্যাকচারিং হাব। গত সপ্তাহে গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টয়োটা ও ফোক্সভাগেন ওই শহরের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
শহরের যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বেশি, সেখানে গত সপ্তাহ থেকে চলছে লকডাউন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় মানুষ শহরের বাইরে বেরোতে পারছেন না। তিয়ানজিন থেকে মাত্র দেড়শ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজধানী বেজিং। অনেকে আশঙ্কা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে রাজধানী বেজিং-এও ব্যাপক হারে ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
গত শনিবার প্রথম বেজিং-এ একজনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ধরা পড়ে। বেজিং প্রশাসন ঘোষণা করেছে, বাইরে থেকে কেউ শহরে আসতে হলে তার কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এরপর সেই ব্যক্তি শহরে ঢুকলে আরও একবার তার কোভিড টেস্ট হবে। বেজিং-এর কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র এখনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চিনের পার্ল নদীর ব-দ্বীপে অবস্থিত গুয়াংডং শহরে ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে ওমিক্রন ও ডেল্টা। সেখানে কয়েকটি জায়গায় লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে গণ হারে টেস্টিং। ওই ব-দ্বীপে অবস্থিত ঝুহাই, শেনঝেন, মেইঝোউ এবং ঝোংসান শহরেও স্থানীয়ভাবে ছড়িয়েছে সংক্রমণ।
চিনের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশহর শেনঝেনে গত সপ্তাহে কয়েকজন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার সেখানে একজন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
চিনের দক্ষিণে হেনান প্রদেশের কয়েকটি শহরে ডিসেম্বরের শেষ থেকে কয়েকশ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার সেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন আনইয়াং শহরের বাসিন্দা।