
শুক্রবার নিউ জার্সিতে তিনি রিপোর্টারদের বলেন, “চিন যদি দেখে ঘুমকাতুরে জো বিডেনের কাছে ট্রাম্প হেরে গিয়েছে, তাহলে খুব খুশি হবে। তারা স্বপ্ন দেখে, একদিন আমেরিকা দখল করে নেবে। জো বিডেন যদি প্রেসিডেন্ট হন, চিন আমাদের দেশ শাসন করবে।”
এর পরে ট্রাম্প টেনে আনেন ইরানের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, “আমি যদি ভোটে জয়ী হই, খুব দ্রুত ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলব।” উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আমরা জিতলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও দ্রুত চুক্তি করে ফেলব। আমরা যদি ২০১৬ সালের ভোটে না জিততাম, তা হলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ বাধত।”
ট্রাম্পের মতে, চিন আমেরিকার ভোটে নাক গলাতে চায়। ব্যাপারটা খুবই বিপজ্জনক। তাঁর কথায়, “আপনারা কি মনে করেন, চিনই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় বিপদ? আমি নিজে তাই মনে করি। ভোটে মেল ইন ব্যালটগুলি নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ রাশিয়া, চিন, ইরান বা উত্তর কোরিয়ার মতো বিদেশি শক্তি সহজেই মেল ইন ব্যালট জাল করতে পারে।”
আমেরিকা একসময় অভিযোগ করেছিল, চিন ইচ্ছা করে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। চিনকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া ফান্ডও বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অন্যদিকে চিনের তরফে এত আগ্রাসী ভূমিকা না নেওয়া হলেও আমেরিকার পাল্টা দাবি করে তারা জানিয়েছে, তাদের দেশে আসা মার্কিন কিছু সেনা জওয়ানের থেকেই প্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়েছিল। নিজেদের উপর ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শি জিংপিং সরকার।
কিছুদিন আগে ট্রাম্প জানান, আমেরিকায় চিনের অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে। তাঁর কথায়, “আমরা আমেরিকা থেকে টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছি। আমার এই অধিকার রয়েছে।” জানা গিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এই অ্যাপের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা জানিয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছে চিন। এই একই অভিযোগ উঠেছিল ভারতেও। তারপরেই টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হয় এদেশে। একই অভিযোগ উঠেছে মার্কিন মুলুকেও। যদিও টিকটকের তরফে বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।