
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি এখন কার্যত প্রধানমন্ত্রী ওলি ও দলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহাল ‘প্রচণ্ড’-র গোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্ত। ২০১৮ সালে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন মাওইস্ট-এর সঙ্গে ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন ইউএমএল সংযুক্ত হয়। কাঠমাণ্ডু পোস্ট সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী রবিবার নেপালে আসছেন চিনের উপমন্ত্রী গুও ইয়েঝোউ। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতা একথা জানিয়েছেন। চিনের সাদার্ন এয়ারলাইনসের বিমানে রবিবার সকালেই কাঠমাণ্ডুতে নামবেন চিনের উপমন্ত্রী।
প্রচণ্ডর ঘনিষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা বিষ্ণু রিজাল বলেন, চিন থেকে তাঁদের গুও ইয়েঝোউ-এর সফরের কথা জানানো হয়েছে। কাঠমাণ্ডুতে চিনের দূতাবাস থেকে এসম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। একটি সূত্রে জানা যায়, চিনের উপমন্ত্রী নেপালে কমিউনিস্ট পার্টির দু’টি গোষ্ঠীর সঙ্গেই বৈঠক করবেন।
গত কয়েকদিনে নেপালে চিনের রাষ্ট্রদূত হোউ ইয়ানকি দফায় দফায় প্রেসিডেন্ট ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষ্ণু রিজাল জানিয়েছেন, প্রচণ্ডর ঘনিষ্ঠ নেতা মাধব নেপালের সঙ্গে বৈঠকের সময় চিনের দূত জানতে চেয়েছিলেন, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি আগামী দিনে কী করবে বলে ভাবছে? গত বৃহস্পতিবার চিনের রাষ্ট্রদূত প্রচণ্ডর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগেও নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলিয়েছে চিন। গত মে মাসে হোউ ইয়ানকি নেপালের প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারীর সঙ্গে দেখা করেন। তখন প্রচণ্ডর গোষ্ঠী ওলির ওপরে চাপ সৃষ্টি করেছিল যাতে তিনি পদত্যাগ করেন। হোউ ওই সময় ওলি এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যান্য নেতার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।
জুলাই মাসে চিনের রাষ্ট্রদূত ফের নেপালের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রচণ্ড ও মাধব নেপালের সঙ্গে দেখা করেন। নেপালের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, চিন তাঁদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যে একটি ছাত্র সংগঠন চিনের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।