Latest News

ফোকাসে লাদাখ, চিন গুটি গুটি পা বাড়াচ্ছে সিকিমের দিকে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাতেই নজর টিকে রয়েছে। চিনা বাহিনী সেনা পিছনোর বদলে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে ভারতীয় সেনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আর অন্যদিকে একটু একটু করে পা বাড়াচ্ছে সিকিমের দিকে। পূর্ব লাদাখ থেকে হিমাচলপ্রদেশের কাউরিক পাস থেকে ফিশ টেইল ১ ও ২ এবং অরুণাচল অবধি লাল ফৌজের গতিবিধি আঁচ করা গেছে।

গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরেও সিকিম সীমান্তে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাই। বস্তুত ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখে এবং ইস্টার্ন সেক্টরে অরুণাচল ও সিকিমে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। টহলদারিকে কেন্দ্র করে আকছার তা লেগেই রয়েছে। কিন্তু গালওয়ানের সংঘর্ষের পরে সিকিম, অরুণাচলে চিনা বাহিনীর তৎপরতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, ইস্টার্ন সেক্টরে আর্মি ভেহিকল মোতায়েন করছে চিন। তৈরি হচ্ছে এয়ারবেস যা প্রসারিত তিব্বত অবধি।

হিমাচলের কাউরিস পাসের কাছে চুরুপ গ্রাম ঘেঁষে রাস্তা তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। তুনজুম লা-র কাছে নতুন নির্মাণ হচ্ছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ডেমচক থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে শিকুয়ানহিতে চিনা যুদ্ধবিমানের ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণেরাখা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে চাংমুতে কমিউনিকেশন টাওয়ার বানাচ্ছে চিনা বাহিনী।

অরুণাচল সীমান্ত বরাবর চার জায়গায় সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করতে দেখা গিয়েছে চিনের বাহিনীকে। ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে আসাফিলা, টুটিং অ্যাক্সিস, চ্যাং জ়ি ও ফিসটেল-২ সেক্টরে সেনা মোতায়েন করতে দেখা গেছে চিনকে। ভারতের সেনা সূত্র জানাচ্ছে, এই চারটি স্পটের মধ্যে আসাফিলা এবং ফিসটেল-২ সেক্টরে চিনে বাহিনীর তৎপরতা বেশি। এই দুটি স্পট ভারতের সীমান্তের খুবই কাছে। অনুমান করা হচ্ছে এই দুই এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি রাইফেল ডিভিশনও মোতায়েন করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।

পূর্ব লাদাখে ভারতের শক্তির সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে অরুণাচলে নতুন করে সামরিক বিন্যাস করে ভারতের বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ারই চেষ্টা করছে চিন, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মত এমনটাই। সেই ১৯৬২ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধ বাধে এই অরুণাচলকে কেন্দ্র করেই। চিন একে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলেই মনে করে। পূর্ব লাদাখের মতো অরুণাচলেও আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া তারা।  জুন মাসে গালওয়ানে দুই দেশের সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষের পরে অরুণাচল নিয়েও শঙ্কিত হয় ভারতের বাহিনী। তবে সেনা সূত্র জানাচ্ছে, ওই এলাকাতেও নিয়মিত সেনার বিন্যাস বদলানো হয়। ভারত আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছে। কাজেই চিনের কৌশল খুব একটা কাজে আসবে না।

You might also like