
পর্যবেক্ষকদের মতে, ইতিমধ্যে নেপালকে নিজের পক্ষে টেনেছে চিন। লাদাখে যখন ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই উত্তরাখণ্ডের একটি অঞ্চলকে নিজের জমি বলে দাবি করেছে নেপাল। মানচিত্রে ভারতের জমি নিজেদের বলে দেখানোর জন্য নেপালের সংবিধানও সংশোধন করা হয়েছে।
লাদাখের সংঘর্ষের পরে চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে ভারত। মুলত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনকে বয়কট করার চেষ্টা হচ্ছে। এর মধ্যে জানা যায়, বেজিং থেকে ঢাকাকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৫১৬১ টি পণ্যে ৯৭ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে। ওই পণ্যগুলি বাংলাদেশ থেকে চিনে রফতানি করা হয়। ঢাকা থেকে অনেক আগেই বেজিংকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যেহেতু বাংলাদেশ চিনের তুলনায় ‘কম উন্নত’, তাই ওই পণ্যগুলিতে তাদের কর ছাড় দেওয়া উচিত। গত ১৬ জুন বাংলাদেশের অনুরোধে সম্মতি জানিয়েছে চিন। তার আগের দিনই লাদাখে গালওয়াল উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুন চিনের অর্থমন্ত্রক থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের পণ্যের ওপরে ৯৭ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী চিনে রফতানি করা ৩০৯৫ টি পণ্যের ওপরে করছাড় পায় বাংলাদেশ।
চিন বাংলাদেশকে ব্যাপক কর ছাড় দিলে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তাতে অস্বস্তি বাড়বে দিল্লির। এমনিতে চিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বরাবর ভারতের পাশে থেকেছে। কিন্তু গতবছর ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে বাংলাদেশ।