
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনার (Covid) সুনামি আছড়ে পড়েছে চিনে (China)। সংক্রমণের প্লাবন বইছে যেন। নববর্ষের প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ফের এবার এই করোনার ভয়াবহতার কথা স্বীকার করে নিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (President Xi Jinping)। করোনা ঢেউ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে চিনে এই করোনার ভয়াবহতা কতদূর বিস্তৃত হতে পারে? লন্ডন ভিত্তিক একটি স্বাস্থ্য তথ্য সংস্থা গাণিতিক হিসেব কষে দেখাল যে, চিন সরকারের শূন্য-কোভিড নীতি (zero-Covid policy) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দেশে করোনায় প্রায় ৯,০০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে!
করোনা দ্বিতীয় ঢেউ সামলে বিশ্ব ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল, কিন্তু বাইশের শেষ দিকে হঠাৎই ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়ান্ট বিএফ ৭ আছড়ে পড়ে চিনে। যার জেরে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। যদিও চিনা প্রশাসন প্রথমে এই করোনার ভয়াবহতার কথা স্বীকার করেনি। তবে চিনা প্রেসিডেন্ট গত ২৬ ডিসেম্বর দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। শি, দেশের প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে একজোটে।
করোনা তৃতীয় ঢেউয়ে তছনছ হয়ে যাচ্ছে ভারতের পড়শি দেশ। হাসপাতালগুলোতে থিকথিকে ভিড়, শ্মশানগুলোর বাইরেরও লম্বা লাইন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এমন মারাত্মক কিছু ছবি ভয় ধরিয়েছে বিশ্ববাসীকে।
ব্রিটেন ভিত্তিক ওই স্বাস্থ্য তথ্য সংস্থার হিসেবে চোখ বোলালে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয়। রিপোর্টে দাবি করা গিয়েছে চলতি জানুয়ারিতেই চিনে আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে করোনা। চলতি মাসের মাঝামাঝিতেই দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লাখ ছাড়াবে। জানুয়ারি পর্যন্ত ওই সংস্থার হিসেবে মৃত্যু সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
৩ জানুয়ারিতেই চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই বৈঠকে মূলত চিনে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং, হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু এবং টিকা দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি চিনকে সব বিষয়েই আরও সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্যও বলা হবে।
এদিকে চিন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কঠোর হল বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ। ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশ আগেই জানিয়েছে কেউ যদি চিন থেকে আসেন তবে তাঁকে অবশ্যই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা করতে হবে। তবেই দেশে ঢোকার অনুমতি মিলবে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কানাডা ও মরক্কো।
নববর্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জিনপিং বলেন, ‘কর্মকর্তা, জনসাধারণ, চিকিৎসক, সমাজকর্মী সবাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বদ্ধপরিকর। মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আরও কাজ করতে হবে।’ পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে আশঙ্কার কালো মেঘ আরও চওড়া হচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস! গ্রেফতার দলের পাণ্ডা, কীভাবে ঠকানো হত বেকারদের