
তাঁর কথায়, “ইয়েস ব্যাঙ্কের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক যে প্রস্তাব নিয়েছে, তা আজগুবি। কারণ ইয়েস ব্যাঙ্কের মোট মূল্য এখন শূন্য। স্টেট ব্যাঙ্ক এখন ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের নিশ্চয়তা দিক, তাদের টাকা খোয়া যাবে না।” পরে তিনি বলেন, ইয়েস ব্যাঙ্ককে বাঁচানোর জন্য স্টেট ব্যাঙ্কের স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করার দরকার নেই।
এর পরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ যে এত বেড়ে উঠছে, কেউ খেয়াল করেনি কেন? নির্দিষ্ট হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, “২০০৪ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ ছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯ সালের মার্চে সেই অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা দাঁড়াল কী করে?” চিদম্বরমের মতে, ম্যানেজমেন্টের ভুল এবং নজরদারির অভাব, দু’টি কারণেই ইয়েস ব্যাঙ্কের এই অবস্থা হয়েছে।
Best judge of management of economy is the market. Yesterday Sensex fell by 884 points, price of an SBI share fell by ₹ 18, rupee (to USD) declined by 54 paise, price of an YES Bank share fell from ₹ 36.80 to ₹ 16.15; actually it's worthless: @PChidambaram_IN #DontBankOnBJP
— Congress Live (@INCIndiaLive) March 7, 2020
তাঁকে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তো বলেছেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের এই দশার জন্য ভুতপূর্ব ইউপিএ সরকার দায়ী। আপনি কী বলবেন? তিনি বলেন, যখন অর্থমন্ত্রীর কথাগুলি শুনছিলাম, মনে হচ্ছিল, এখনও ইউপিএ ক্ষমতায় আছে। আমি এখনও অর্থমন্ত্রী। নির্মলা আছেন বিরোধীপক্ষে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জারি হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই নয়া নির্দেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের কাজকর্মের সূচনা এবং কাজ চালিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ঘোষিত হলেও, চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা, বিয়ে, এই ধরনের কোনও বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে বেশি টাকার প্রয়োজন হলে তা তোলা যাবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।