
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: দশমীর রাতে মাল নদীর (Mal River) সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনও টাটকা বঙ্গবাসীর মনে। হড়পা বানে মারা গিয়েছিলেন আটজন। ভেসে যান বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকারী দল নামিয়ে বাঁচানো হয়। তাই ছটপুজো নিয়ে বেশ সতর্ক প্রশাসন। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল মাল নদীতে ছটপুজো (Chhat Puja) করতেই দেওয়া হবে না। যদিও পরে স্থানীয়দের কথা ভেবে নদী ঘাটে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে মূল নদীতে নামার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেই জন্য কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মূল নদী থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানেই ছটপুজোর আচারবিধি পালিত হবে। প্রত্যেকটি ঘাটে থাকবে কড়া পুলিশি পাহারা। থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। কেউ যাতে নিয়ম ভেঙে নদীতে না নামেন, সেদিকেই থাকবে নজর।
প্রসঙ্গত, ছটপুজোর দিন সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা হচ্ছে একাধিক ঘাটে। থাকছে বাঁশের ব্যারিকেড। দুর্ঘটনা এড়াতে যাবতীয় প্রস্তুতি আজকের মধ্যেই সেরে রাখছে প্রশাসন। তবে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির দিঘির ছটঘাট পরিদর্শন করে অসন্তুষ্ট শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। তা পুনরায় তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ি দিঘির ছটপুজোর ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে প্রশাসনের আরও অনেকে ছিলেন। ঘাটে কাঠের পাটাতন দিয়ে প্ল্যাটফর্ম বানানো হয়েছিল। আজ পরিদর্শনের সময় সেই প্ল্যাটফর্মের একটি অংশ ভেঙে যায়। যদিও এতে কেউ আহত হননি। তবে নিজের চোখের সামনে প্ল্যাটফর্মের এই অবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান। এরপর তিনি ফের নতুন করে কাজ করার নির্দেশ দেন।