
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বুধবার রাতে যমুনোত্রী হাইওয়েতে (Char Dham) রানা চাট্টি ও সায়ানা চাট্টি অঞ্চলের মাঝে ১৫ মিটার জায়গা জুড়ে ধস নামে। ফলে ওই এলাকা দিয়ে বাস ও অন্যান্য বড় গাড়ির যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরকাশীর বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে বলা হয়েছে, রাস্তায় ধস নামায় হাজার হাজার চার ধাম যাত্রী আটকে পড়েছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে রাস্তা সারানো যায়। রাস্তা মেরামত করতে গিয়েছেন ১৫ জন শ্রমিক। তাঁদের সঙ্গে আছে একটি ট্র্যাকটর ট্রলি, দু’টি জেসিবি মেশিন ও একটি পোকল্যান্ড।
তীর্থযাত্রীদের (Char Dham) ২৪ টি বাস ও ১৫ টি মিনিবাস থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী আশ্রমে ও সায়নচাট্টি অতিথিশালায়। তবে হৃষিকেশ-গঙ্গোত্রী হাইওয়ে, বিকাশ নগর-বারকোট জাতীয় সড়ক, চিনায়লাই সৌদ-সুভাখোলি, উত্তরকাশী-লামগাঁও-শ্রীনগর ও মুসৌরি-দেরাদুন রোড খোলা আছে।
চার ধাম যাত্রায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জন তীর্থযাত্রীর (Char Dham)। হৃদরোগ ও অন্যান্য অসুখে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। যমুনোত্রীতে মারা গিয়েছেন ১৫ জন। গঙ্গোত্রীতে মারা গিয়েছেন চারজন। বদ্রীনাথে মারা গিয়েছেন আটজন। কেদারনাথে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন বৃহস্পতিবার সকালে।
রুদ্রপ্রয়াগের চিফ মেডিক্যাল অফিসার বি কে শুক্লা বলেন, আমরা নজর রাখছি যাতে কোনও তীর্থযাত্রী (Char Dham) রাতে খোলা আকাশের নীচে না ঘুমোন। যদি তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের হলঘর খুলে দেওয়া হবে। সেখানে তাঁরা রাতে থাকবেন।
এখনও পর্যন্ত চারধাম যাত্রা সম্পূর্ণ করেছেন সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ। বুধবার কেদারনাথে পৌঁছেছেন ১৬ হাজার ৭৮৮ জন। এই নিয়ে কেদারনাথ দর্শন করলেন ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭১১ জন। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত বদ্রীনাথ দর্শন করেছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৪৬ জন। যমুনোত্রী দর্শন করেছেন ১ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫২ জন। গঙ্গোত্রী দর্শন করেছেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৫৫ জন।
আরও পড়ুন : বানভাসি অসম, বিধায়ককে কাঁধে চাপিয়ে জল ডিঙিয়ে দিলেন উদ্ধারকর্মী, সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়