
এদিন ওই কর্মসূচিতে চন্দ্রিমা বলেন, “রান্নার গ্যাস আর ভোজ্য তেলের দাম যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তাতে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের সংসার চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টোভেও রান্না করা যাচ্ছে না। কারণ কেরোসিন তেলের দামও আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে উনুনই একমাত্র বিকল্প।”
চন্দ্রিমা আরও বলেন, “পেট্রল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য জিনিসেরও দাম বাড়ছে। গোটা দেশের মানুষ যখন জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্যে পুড়ছে তখন কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও তাপ-উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না। দাম নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকাই নেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের।”
প্রসঙ্গত, এদিনই উজ্জ্বলা যোজনা-২ প্রকল্প সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি ঘোষণা করেছেন, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার পাবেন। তার জন্য তাঁদের শুধু দিতে হবে ঠিকানার প্রমাণপত্র। গরিব মানুষের হেঁসেলে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে উজ্জ্বলা যোজনা শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিনা পয়সায় গ্যাসের সংযোগ পৌঁছে গিয়েছিল কয়েক কোটি পরিবারের কাছে। কোভিড পর্বে তাঁদের বিনামূল্যে সিলিন্ডারও দিয়ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গ্যাস সংযোগের বিশেষ ঘোষণা করল মোদী সরকার। বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকরা ‘সেলফ ডিকলারেশন’ দিলেই এলপিজি গ্যাস সংযোগের সুবিধা পাবেন। বিশেষ কোনও নিয়মাবলীর জটিলতার মধ্যে তাঁদের পড়তে হবে না।
পরযায়ী শ্রমিকরা যাতে নিজের এলাকায় কাজ পান তার জন্য গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অতিরিক্ত ৮৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। যাকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও গ্যাসের দাম নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের সময়ে প্রায় প্রতিদিন দিদি জনসভা থেকে বলতেন, “আমি দু’টাকায় চাল দেব হার আপনারা ৮০০ টাকায় গ্যাস কিনবেন? চালের দাম দু’টাকা আর ভাত ফোটাতে ৮০০? এবার বিজেপিকেই ভাল করে ফুটিয়ে দিন।” এদিন কার্যত সেই ধারাতেই রাস্তায় নেমে উনুনে রাঁধলেন চন্দ্রিমা।