
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালের ঘটনা। হাসপাতাল সুপারের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি গিয়ে তাঁকে দেখার পরই বেড রেস্ট নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই একজন চিকিৎসক হিসাবে তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল৷ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতারাতি পাল্টি খান চন্দ্রনাথ অধিকারী (Chandranath Adhikari) নামের সেই চিকিৎসক। জানান, তাঁকে অনুব্রতবাবুই সাদা কাগজে বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
এরপর থেকেই গোটা রাজ্যে চর্চিত হচ্ছে বোলপুরের সেই চিকিৎসকের নাম৷ বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে চন্দ্রনাথ বলছেন, ‘আমি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স- সবেতেই স্ট্যান্ড করেছি। কলকাতা মেডিকেলে এমবিবিএস পড়েছি৷ কোনওদিন নিজের মেরুদণ্ড বেঁকে যেতে দেব না। বিকিয়ে যেতেও দেব না।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে অনুব্রতর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বোলপুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী৷ এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি দাবি করেন, সুপারের কথা শুনে একপ্রকার চাপে পড়েই জেলা তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি৷
অর্শই রক্ষাকবচ! কেষ্টর অপারেশনের আবদার ডাক্তারবাবুদের কাছে
একইসঙ্গে তিনি জানান, মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে তাঁর অনুরোধেই সাদা কাগজে বেড রেস্টের পরামর্শ লিখতে বাধ্য হন তিনি৷ সেসময় অনুব্রতর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এই কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলতে পারেননি৷ পরে বাড়ি ফিরে বিবেক দংশনে ভুগতে শুরু করেন তিনি৷ এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে গোটা ঘটনা ফাঁস করে দেন৷ চন্দ্রনাথের কথায়, ‘আমার মনে হচ্ছিল, সাধারণ মানুষের চোখে আমি একেবারে হেয় হয়ে গেলাম৷ আমি ফ্যামিলি ম্যান৷ তাই ঝুটঝামেলা থেকে দূরেই থাকি। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বিন্দুমাত্র ভাবি না। কখনওই নিজের মেরুদণ্ডটা বেঁকাতে পারব না৷’
জানা গেছে, মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়েছিলেন চন্দ্রনাথবাবু৷ উচ্চ মাধ্যমিকে গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান দখল করেন৷ জয়েন্ট এন্ট্রান্সের গোটা রাজ্যে ক্রমতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ২২৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন৷ এর পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সার্জারিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন এই চিকিৎসক৷