
ইংরেজি প্রশ্নপত্রে বোধ পরীক্ষণের জন্য যে লেখাটি দেওয়া হয়েছিল, তার একটি অংশে আছে, ‘স্ত্রীদের ক্ষমতায়ন হলে সন্তানদের ওপরে বাবা-মায়ের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পায়।’ এছাড়া ছিল, “স্ত্রী যদি স্বামীর কথা শুনে চলেন, তবেই ছোটরা বড়দের মান্য করতে শেখে।” আরও কয়েকটি লাইনে বলা হয়েছিল, “নারীদের ক্ষমতায়ন হলে সন্তানের বাবা-মায়ের মধ্যে মতভেদের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পরিণামে শিশুরা বাবা-মাকে অমান্য করতে শেখে।” “পুরুষদের উঁচু স্থান না দিলে স্ত্রী এবং মায়েরাও বঞ্চিত হন। কারণ তখন পরিবারে শৃঙ্খলা থাকে না।”
সিবিএসই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে বোধ পরীক্ষণে ওই লেখাটি দেওয়া হয়নি। এদিন সকালে বিরোধীরা বলেন, বোধ পরীক্ষণে যে লেখাটি উল্লেখ করা হয়েছে তা ‘নারীবিদ্বেষী ও আপত্তিকর’। লোকসভায় বিষয়টি প্রথমে তোলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি দাবি করেন, ওই প্রশ্নপত্রের জন্য মোদী সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, তরুণদের নৈতিকতা ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে আরএসএস-বিজেপি।