
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেন্দ্রের নজর এখন বাংলার কয়লা কেলেঙ্কারির পান্ডাদের দিকে। আর তাই ভিজিলান্স বিডির টিমকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই ফের হানা দিল বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে। সমস্ত বৈধ ও অবৈধ খোলামুখের খনিতে গিয়ে খুঁটিনাটি যাচাই করেছেন কয়লা মন্ত্রকের স্পেশাল এক্সপার্টরা। আজই অন্ডালের বক্তারনগর টপ লাইন, হরিশপুর-সহ বেশ কয়েকটি খনি ঘুরে দেখেন তাঁরা।
খনির খোলামুখের সুযোগ নিয়ে ইসিএলের খাদান থেকে ঠিক কত পরিমাণ কয়লা তুলে নেওয়া হয়েছে, মাপজোক করা হয়। অন্ডালের অবৈধ খাদান যাচাই করতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন টিম গিয়ে ছিল। সেখানেই এক আধিকারিক জানান, মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করা হবে। তবে বোঝা সম্ভব, কত পরিমাণ কয়লা মাটির নীচে মজুত ছিল, আর কত পরিমাণই বা তুলে নেওয়া হয়েছে। ওপর থেকে নিশ্চিতভাবে বলা তাই খুবই মুশকিল। এতে পাচার হওয়া কয়লার সঠিক পরিমাণ বোঝা যাবে।
গত ৫ জানুযারি গরু কয়লা পাচার নিয়ে ইনস্পেক্টর ও ডিএসপি পদমর্যাদার ৬ অফিসারকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়ে ছিল। সিবিআই দাবি করেছে, পাচারে অভিযুক্তদের সঙ্গে এই ৬ অফিসার রীতিমতো যোগসাজশ করেছেন। আর সেই প্রমাণ সিবিআই এর কাছে রয়েছে। তাঁদের ওপর নজর রাখা হয়েছে। মূল হোতাদের চিনে নেওয়ার পর এখন সমস্তটাই পরিষ্কার। তাই অবৈধ পাচার বন্ধ করতে সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীতে এই ৬ জনকে ফের ডেকে পাঠাবে সিবিআই।
এদিকে কয়লা পাচারে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও ফেরার। সিবিআইএর তালিকায় রয়েছে প্রভাবশালীদের নামও। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেতে সিবিআইয়ের নজর এখন বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের সমস্ত খাদানে রয়েছে।