
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গতকালই বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের কয়লাখনিগুলিতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। আজ, মঙ্গলবার সেখানেই গেলেন সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং। সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন সমস্ত কিছু। তদন্ত স্বচ্ছ করতে জমির মাপ নিয়ে রূপরেখা তৈরির কথা ভাবছেন ডিআইজি।
শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বৈধ ও অবৈধ খাদান রয়েছে। সেগুলির বেশ কয়েকটির মুখ খোলা। সেই সুযোগে দীর্ঘ দিন ধরেই কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠছিল। ভোটে আগে পান্ডাদের ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে কয়লা মন্ত্রক। মন্ত্রকের নির্দেশ তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
আজ খাদানের অবস্থা খতিয়ে দেখতে ডিআইজি অখিলেশের সঙ্গে সিবিআইয়ের বিশেষ টিমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। কয়লা মন্ত্রক থেকে পাঠানো বিশেষ বিশেষজ্ঞরা অন্ডাল থানার অন্তর্গত বক্তারনগর টপ লাইন, হরিশপুর সহ রানিগঞ্জের একাধিক জায়গার অবৈধ খনির খোলামুখ খতিয়ে দেখেছেন। নমুনাও সংগ্রহ করেছেন।
জানা গেছে, খনির খোলামুখ থেকে ঠিক কত পরিমাণ কয়লা তোলা হয়েছে, তা জানাই এখন বেশি জরুরি। সেক্ষেত্রে মাটির রসায়ন বিশ্লেষণকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন এক্সপার্ট টিমের আধিকারিকরা। ডিআইজি অখিলেশ সিং তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করতে চাইছেন বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এদিন হরিশপুর ও রানিগঞ্জের বিভিন্ন অবৈধ কয়লা খাদানে দড়ি ফেলে ফের মাপজোক করা হয়েছে।
খাদান পরিদর্শনের পরে ডিআইজি অখিলেশ সিং বলেন, “পরিদর্শন এবং তদন্ত দুইই চলছে। জমির মাপ নিয়ে একটা রূপরেখা তৈরি করে অনুমান করতে চাইছি, কত পরিমাণ কয়লা বেআইনি ভাবে তুলে ফেলা হয়ে হয়েছে।”
কয়লা মাফিয়াদের ধরতে এখন কেন্দ্র অতি তৎপর। সামনেই বিধানসভা ভোট। আর নির্বাচনী প্রচারে বারবার এরাজ্যের কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা সুর চড়াচ্ছেন। অভিযোগ করছেন, রাজ্য শাসকদলের হেভিওয়েট নেতারাই এই সমস্ত অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাই বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে খুলেছে রাজ্যের কয়লা কেলেঙ্কারির ফাইল। ইতিমধ্যে কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও সামনে এসছে। অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যে তার কলকাতা-সহ অন্য জায়গায় বাড়িতে হানাও দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু লালার পাত্তা পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া গত ৫ তারিখ গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে ইনস্পেক্টর ও ডিএসপি পদমর্যাদার ৬ অফিসারকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, পাচারে অভিযুক্তদের সঙ্গে এই ৬ অফিসার যোগসাজশ করেছে আর সেই প্রমাণ সিবিআই-এর কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে ফের তাদের তলব করা হবে।