
সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে ইডি জানিয়েছে, চিদম্বরম তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের মাধ্যমে ভারতে ও বিদেশে বেশ কয়েকটি ভুয়ো কোম্পানির জাল বিছিয়েছিলেন। তছরুপ করা অর্থ জমা রাখার জন্য তিনি ওই কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন। কারা ওই ষড়যন্ত্রে চিদম্বরমকে সাহায্য করতেন তা ইডি জানায়নি। তাদের অভিযোগ, ভুয়ো কোম্পানিগুলিতে চিদম্বরম যে অর্থ জমা রেখেছিলেন, তার একটি অংশ আইএনএক্স মিডিয়া থেকে পাওয়া।
অভিযোগ, ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চিদম্বরম বেআইনিভাবে আইএনএক্স মিডিয়াকে বিদেশি বিনিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। আইএনএক্স মিডিয়ার মালিক পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জির সঙ্গে চিদম্বরমের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইডি সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, আমরা কোনও গোপন তথ্য ফাঁস করে দিইনি। চিদম্বরম পুরো ব্যাপারটায় রাজনৈতিক রং দিতে চাইছেন। আমরা অভিযোগকারীকে জানিয়েছি, তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে। চিদম্বরমের আইনজীবীই টিভিতে এই মামলা নিয়ে নানা যুক্তি তর্ক পেশ করছেন।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কৌঁসুলি কপিল সিব্বল বলেন, ইডির নথিপত্রে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে, তাঁকে জানানোই হয়নি। সিবিআই জেরায় তাঁকে প্রশ্ন করেছে, আপনার কি কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে। এই ধরনের প্রশ্নই তাঁকে করা হচ্ছে।
চিদম্বরম সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তাঁকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। ইডি পালটা বলে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট নথিপত্র আমরা পেয়েছি। তাঁকে কাস্টডিতে রেখে জেরা করলে তবেই সত্যিটা জানা যাবে।
আদালতে হলফনামায় ইডি বলেছে, আমরা জানতে পেরেছি, ভুয়ো কোম্পানিগুলি যারা অপারেট করত, তাদের সঙ্গে চিদম্বরমের যোগাযোগ ছিল। বেনামে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীই কোম্পানিগুলির মালিক ছিলেন। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে বেআইনিভাবে পাওয়া অর্থ গচ্ছিত রাখা হত।
ইডি জানিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর, ১ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি চিদম্বরমকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। কোনও প্রশ্ন করলে এড়িয়ে গিয়েছেন।