
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটি কার পার্কিং এলাকায় একটি টুলে বসে আছেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। পেছন থেকে দ্রুত হেঁটা আসছেন তাঁর বাবা। হাতে একটি লোহার রড। ছেলের কাছে এসে রীতিমতো আগাম প্রস্তুতির সঙ্গে ছেলের মাথায় সজোরে মেরে বসলেন রডের বাড়ি। একটা মারেই সব শেষ। ছেলে রক্তাক্ত মাথা নিয়ে পড়ে গেল, আর নড়ল না। বাবা দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, জমি-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এমন নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে। পরিবার জানিয়েছে, এই ঘটনার আগেই বাবা-ছেলের মধ্যে তুমুল তর্কবিতর্ক হয় এসব নিয়ে। তার পরেই ছেলে গিয়ে বসেছিল গ্যারেজের বারান্দায়। সেখানে গিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেছেন বাবা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রডের বাড়ি খেয়ে তখনই মারা যান ভদ্রলোক। বাবা আত্মসমর্পণ করার পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মামলা রুজু করা হয়েছে। আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এমনকি সমস্যা হয়েছিল, যাতে নিজের ছেলেকেও খুন করতে পিছপা হলেন না বাবা! মনোবিদদের একাংশের মতে, কোনও কোনও মানুষের ক্রোধের মুহূর্ত এতটাই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়, যে তিনি নিজের মধ্যে থাকেন না। হয়তো সম্পর্কে বাবা হলেও, ওই সময়ের জন্য সেটা ভুলে গেছিলেন অপরাধী। তবে বাবা না হলেও এমন হত্যা করা যায় না কাউকেই। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হয়, বিষয়আশয় সংক্রান্ত লোভ বা জেদ সম্ভবত মানুষকে এই পর্যায়ে ঠেলে দেয়।