
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরে নিরীহ নাগরিকদের (civilians) নিশানা করে সন্ত্রাসবাদীরা (terrorists) মারছে। জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। এর মোকাবিলায় ৫৫০০ র ওপর অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ (সিএপিএফ) (capf) উপত্যকায় পাঠানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। একের পর এক হত্যাকাণ্ডের জেরে সেখানে বাহিনীর উপস্থিতি যাতে নজরে পড়ে, নিরাপত্তা জোরদার হয়, সেই কৌশলের অঙ্গ হিসাবেই বাড়তি কোম্পানি পাঠানো হল বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
২৯ শে থেকে রোজ ট্রাক্টরে সংসদ অভিযান, বাধা পেলেই বসে পড়বে কৃষকরা, ঘোষণা মোর্চার
গত মাসেই নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে নতুন প্রায় ৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই দফার শেষ ৫ কোম্পানি আগামী সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছে যাবে। ২৫ কোম্পানি তৈরি হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে, বাকি কোম্পানিগুলিতে নেওয়া হয়েছে বিএসএফ জওয়ানদের। একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে প্রায় ১০০ জন জওয়ান থাকে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনের কাজে জম্মু ও কাশ্মীরে ব্যাপক সংখ্যায় সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। প্রায় ৬০ ব্যাটালিয়ন সিআরপি আছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নের শক্তি হাজারখানেক জওয়ান। বিএসএফ সেনাবাহিনীর অপারেশন সংক্রান্ত কম্যান্ডের আওতায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পাহারায় থাকে। তবে তাদের কিছু ইউনিট শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিযুক্ত হয়।
উপত্যকায় নতুন নতুন বাঙ্কার তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চলছে দেহ তল্লাশি, গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি। লালচকে মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়েছে মহিলাদের তল্লাশির কাজে।
১ অক্টোবর থেকে অন্তত ১৪ জনকে টার্গেট করে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের ৫ জন বিহারের শ্রমিক। ২ শিক্ষক সহ তিনজন কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিকে চলতি বছরে মোট ১১২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, ১৩৫ জন ধরা পড়েছে যৌথ অভিযানে, জানিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র।