
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাহাড়, সমুদ্রের হাতছানি এড়িয়ে জঙ্গলের অ্যাডভেঞ্চার যাঁদের পছন্দ তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলে ক্যাম্প ফায়ার (Camp Fire) নিষিদ্ধ করে দিল বন দফতর। বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন দফতরের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জঙ্গলের ধারে যে সমস্ত বেসরকারি লজ, রিসর্ট কিংবা হোম স্টে রয়েছে তাতে কোনওভাবে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করা যাবে না। জোরদার সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারও বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে যাচ্ছেন মোদী, তার আগেই বেঙ্গালুরু চলে গেলেন চন্দ্রশেখর
জঙ্গলের ধারে ঘুরতে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে অনেকেই ক্যাম্প ফায়ার (Camp Fire) করে থাকেন। আগুন জ্বালিয়ে তার ধারে বসে গান, গল্প, আড্ডা চলে দেদার। কিন্তু জঙ্গলের ধারের এই আয়োজন অস্বস্তিতে ফেলে বন্যপশুপাখিদের। তাদের কথা ভেবে ক্যাম্প ফায়ার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গল লাগোয়া হোটেলে সাউন্ড সিস্টেম কিংবা লেজার বিমও একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না (Camp Fire)। এই মর্মে বন দফতরের নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে জলদাপাড়া, গরুমারা অভয়ারণ্যে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলঘেরা এলাকাতেও নির্দেশিকা গেছে।
বন দফতরের এমন কড়া নির্দেশে মুষড়ে পড়েছেন পর্যটকরা। তবে নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদ ও পশুপ্রেমীরা। বন্যপ্রাণীদের উপর মানুষের এমন উপদ্রব অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে গরুমারার মূর্তি ও লাটাগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি কিছু রিসর্টে রাত জেগে তুমুল হইহুল্লোড় করছিলেন পর্যটকরা। ডিজে থেকে শুরু করে লেজার বিম, বাদ যায়নি কিছুই। এরপরি বন দফতরের কাছে অভিযোগ যায়। অবিলম্বে এসব বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেন আধিকারিকরা।
বন দফতরের ওই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, যদি কোনও রিসর্টে এই নির্দেশ অমান্য করা হয়, যদি নিয়ম ভাঙা হয় তাহলে সেই রিসর্ট এবং পর্যটকদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন দফতরের বক্তব্য, সাউন্ড সিস্টেমের তুমুল আওয়াজ, গান-বাজনা কিংবা আলোর ঝলকানিতে বন্যপশুপাখিদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তারা বিরক্ত বোধ করে। আর তাতেই তাদের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। তাতে অনাবশ্যক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব এড়াতেই নির্দেশিকা জারি করে ক্যাম্প ফায়ার বন্ধ করা হল।