Latest News

ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের রায় কার্যকর করতে অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না: বিচারপতি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা তথা ডিএ (Dearness Allowance – DA Case) তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। নবান্ন তা না করায় মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের প্রশ্ন ছিল, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে না।

হাইকোর্টের ওই নোটিশের জবাব গত ৪ নভেম্বর হলফনামার মাধ্যমে পেশ করেছেন মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না”।

ঘটনা হল, হাইকোর্টের মে মাসের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এদিন হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন. সুপ্রিম কোর্ট এখনও মামলা গ্রহণ করেনি। তাই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা শুনতে সমস্যা নেই। দু’সপ্তাহ বাদে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গত সপ্তাহে আদালত অবমাননা মামলায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অর্থ সচিব মনোজ পন্থ হলফনামা পেশ করেছিলেন। তাতে মুখ্য সচিব দুটি বিষয় পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছিলেন। এক, রাজ্য সরকার বর্তমানে কর্মচারীদের ডিএ দিচ্ছে। এর থেকে বেশি হারে ডিএ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। তা করতে গেলে আর্থিক বিপর্যয় হবে।

মুখ্যসচিবের এও বক্তব্য ছিল যে, হাইকোর্ট উচ্চ হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ দিতে বলেছে। সেই হার নির্ণয় করতে বলেছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে মহার্ঘ ভাতার নতুন হার নির্ণয় করা হবে তা হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

বুধবার এ ব্যাপারে কর্মচারী সংগঠনের একাধিক নেতা বলেন, রাজ্য সরকার ইনিয়ে বিনিয়ে ডিএ নিয়ে বকেয়া মেটাতে দেরি করছে। তাই নানারকম ছুতো খুঁজছে। তা আদালতও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে। সুপ্রিম কোর্টও এটা বুঝবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মচারীরাও মনে করছেন, এর নিষ্পত্তি একমাত্র আদালতেই সম্ভব। সেদিক থেকে ইতিবাচক যে আদালতও বিষয়টি নিয়ে যত্নশীল।

টেট উত্তীর্ণদের ধর্নায় পুলিশি বাধার অভিযোগ, মামলা হল আদালতে

You might also like