
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেতাকে। তবে এখনই সশরীরে কলকাতায় এসে হাজিরা দিতে হবে না, পরেশ রাওয়ালকে রক্ষাকবচ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
কী নিয়ে মামলা হয়েছিল?
গুজরাতে প্রচারে গিয়ে বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। তিনি ভরা সভায় বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ। কিন্তু পাশের বাড়িতে যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু কিংবা বাংলাদেশিরা এসে ওঠেন, তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’ পরেশের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে যায়, শুরু হয় বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে নিলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি প্রবীণ অভিনেতার।
অভিনেতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ সেলিম। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরেশ রাওয়ালকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি হাজিরা নির্দেশ দেয় পুলিশ। তালতলা থানার নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে পরেশের মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে এদিন অভিনেতার আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল (পড়ুন পরেশ রাওয়াল) কারওর মনে আঘাত করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। পরবর্তীকালে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
পরেশ রাওয়ালের আইনজীবীর এই দাবির পর বিচারপতি মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী শামিম আহমেদকে বলেন, উনি তো ক্ষমা চেয়েছেন, তাহলে সমস্যা কোথায়? বিচারপতির কাছে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চান শামিম।
তারপরই আদালত নির্দেশ দেয়, পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তদন্তকারী অফিসাররা পরেশ রাওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পুলিশের নোটিসের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বড় নির্দেশ, টেট তদন্তে সিবিআইকে জেরা করতে হবে তাদেরই অফিসারকে