
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্রিটিশ সরকার (Britain) ফের নিয়ম পরিবর্তন করল ভারতীয় পর্যটকদের জন্য। এবার থেকে, যে কোনও কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে, ব্রিটেনে গেলে ভারতীয়দের আর বাধ্যতামূলক কোয়ানেন্টাইনে (quarantine) থাকতে হবে না।
বৃহস্পতিবারই ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড বা ব্রিটেনের অনুমোদন প্রাপ্ত অন্য কোনও টিকাও, যাঁরা দুটি ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাহলে ব্রিটেনে পৌঁছে তাঁদের কোরায়েন্টাইনে রাখা হবে না। ১১ অক্টোবর, সোমবার থেকেই এই নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
No quarantine for Indian 🇮🇳 travellers to UK 🇬🇧 fully vaccinated with Covishield or another UK-approved vaccine from 11 October.
Thanks to Indian government for close cooperation over last month. pic.twitter.com/cbI8Gqp0Qt
— Alex Ellis (@AlexWEllis) October 7, 2021
এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে কোভিশিল্ডকে সুরক্ষিত বলে জানানো হলেও ব্রিটেন সহ একাধিক দেশে কোভিশিল্ডকে করোনা ভ্যাকসিন হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে ব্রিটেন সফর করতে গেলে সব ভারতীকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বলে ঘোষণা করেছিল বরিস জনসন সরকার। এর পরই বিতর্ক শুরু হয়। বিপদে পড়েন পড়ুয়ারা। বহু ভারতীয় সমস্যায় পড়েন সে দেশে যেতে গিয়ে।
ভারতে আসতে পারবেন বিদেশি পর্যটকরা, অনুমতি দিল দিল্লি
ভারতের তরফেও পাল্টা প্রতিবাদ করা হয়। জানানো হয়, ব্রিটেন দ্রুত সিদ্ধান্ত বদল না করলে ভারতের তরফেও একইরকম ব্যবহার করা হবে। এর পরে ৪ অক্টোবর থেকে নিয়ম করা হয়, কোনও ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেন থেকে ভারতে এলে তাঁকে বাড়িতে বা হোটেলে ১০ দিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ ছাড়া ভারতে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা বা আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। ভারতে আসার ৮ দিনের মাথায় ফের করাতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্ট। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ১০ দিন পর তাঁরা বাইরে বেরোতে পারবেন।
কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ভারতের এই চাপেই শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান বদল করল ব্রিটেন। তারা আগেই জানিয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সজেভ্রিয়া, মোডার্না, ফাইজ়ার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন প্রাপ্ত টিকা হিসাবে গণ্য করা হবে। এবার জানাল, এই টিকাগুলির দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে আর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না ব্রিটেনে পৌঁছে।
তবে ব্রিটেনের তরফে এই ঘোষণা করা হলেও ভারতের তরফে নির্দেশিকা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পুরো বিষয়টির উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে ভারতের তরফে। এরপরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।