
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, তাঁরা প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনবেন। ব্রিটেন ইতিমধ্যে কাবুল শহর থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে এনেছে। কাবুলে যে বাড়িতে একসময় ব্রিটিশ দূতাবাসের অফিস ছিল, সেখানে এখন উড়ছে তালিবানের পতাকা। বেন স্বীকার করেন, “আমরা কেউই এমন চাইনি”। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রিটিশ সরকার কি তালিবানকে স্বীকৃতি দেবে? তিনি বলেন, এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জঙ্গিরা কাবুল দখলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিন জানিয়েছে, ‘তালিবানের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রেখে চলব’। ইতিমধ্যে ভারত ও আরও কয়েকটি দেশ জানিয়ে দিয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে তারা স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু চিনের অবস্থান স্পষ্টতই তার বিপরীত। বেশ কিছুদিন ধরেই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে চিন। এমনকি তালিবান সরকারের যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন বলে শোনা যাচ্ছে, সেই মোল্লা আবদুল গনি বরাদর কয়েকদিন আগে চিন থেকে ঘুরে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন বেজিংয়ের তরফে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, “চিন আফগান জনতার অধিকার ও স্বাধীন চিন্তাকে সম্মান করে। আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালিয়ে যাব।”
চিনের এই বিবৃতিকে ডিগবাজি হিসেবেই দেখতে চাইছেন অনেকে। তাঁদের ধারণা, আফগানিস্তানে ব্যবসা করার জন্য চিন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। কারণ, এক সপ্তাহ আগেই চিনের অবস্থান ছিল একেবারে উল্টো মেরুতে। তালিবান তখন একের পর এক এলাকা দখল করতে করতে কাবুলের দিকে এগোচ্ছে। সেই সময়ে চিনও জানিয়েছিল, তালিবান সরকার গঠন করলে তারা সেই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না।
সেই অবস্থান থেকে কার্যত সরে এসেছে চিন। যদিও চিনের তরফে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর বিনা রক্তপাতেই ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে তালিনবানরা। তাই সেই সরকারকে সমর্থন করতে অসুবিধা নেই।