
বিদেশমন্ত্রক থেকে সোমবার বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্থির করেছেন, তাঁরা ভারচুয়াল বৈঠক করবেন। বরিস জনসন ভারতে আসবেন না। মোদী এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী, উভয়েই দুই দেশের সম্পর্ককে গভীরতর করে তুলতে চান। সেই উদ্দেশ্যে তাঁরা নিয়মিত পরস্পরের মধ্যে যোগযোগ রাখবেন।” পরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষে মোদীর সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি সাক্ষাৎ হতে পারে।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বরিস জনসনের ভারত সফর কাটছাঁট করা হচ্ছে। ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টি প্রশ্ন তুলেছিল, ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে, তখন বরিস জনসন সেদেশে যাবেন কেন? তিনি কি অনলাইনে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না?
লেবার পার্টির নেতা স্টিভ রিড বলেন, “সরকার থেকে নাগরিকদের বলা হচ্ছে, খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দূরে কোথাও যাবেন না। আমি ভেবে পাচ্ছি না, প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন জুমের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে দরকারি কথাবার্তা বলতে পারবেন না?”
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসে। তারপরে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রথমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপের বাইরের কোনও দেশে সফরে আসার কথা ছিল।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে দেখা গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। পজিটিভিটি রেট বেশি, করোনায় ‘আর-নম্বর’ (এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর)বেড়েছে। উদ্বেগের শেষ এখানেই নয়। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক লাখ কোভিড অ্যাকটিভ রোগীকে শণাক্ত করা গেছে, সব মিলিয়ে দেশে এখন ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ। অ্যাকটিভ কেসের হারও ১২ শতাংশের বেশি যা চিন্তার কারণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। বেশিজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ।