
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দু’মাস আগে মোবাইল ছিনতাই হয়েছিল কর্ণাটকের উপ্পারাপেট শহরে এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের। অনেক সন্ধান করে শেষে এক জামাকাপড়ের দোকানে ছিনতাইকারীদের সন্ধান পেলেন তিনি। পুলিশকে খবর দিলে তারা গ্রেফতারও করল দুই দুষ্কৃতীকে। জেরায় দু’জন জানিয়েছে, এক ছিনতাইবাজ গ্যাং-এর সদস্য তারা। একটি মোবাইল চুরি করলে তারা পায় হাজার টাকা। সঙ্গে বখশিস হিসাবে এক প্লেট বিরিয়ানি আর মদ।
ট্যাক্সিচালকের নাম এস শিবকুমার। বয়স ৪৮। বাড়ি শ্রীরামপুরা অঞ্চলে। গত ৩ নভেম্বর তিনি কে জি রোডে এক দোকানে শপিং-এ গিয়েছিলেন। দোকান থেকে তিনি বেরিয়েছেন, এমন সময় দুই যুবক তাঁর মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালায়। শীঘ্র শিবকুমার সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। তাতে ছিনতাইবাজদের দেখা যায়। সেই ছবি শিবকুমার বন্ধুদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেন। তাদের বলেন, কেউ দুষ্কৃতীদের দেখতে পেলে যেন তাঁকে জানায়। তিনি নিজেও দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতেন প্রায়ই। তাঁর ধারণা হয়েছিল, সেখানেই দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাবেন। ফের ছিনতাই করতে তারা দোকানের সামনে আসবেই।
গত রবিবার শিবকুমার দুই ছিনতাইবাজকে সত্যিই ফের শোরুমের কাছে দেখতে পান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দোকানের গার্ডদের সতর্ক করেন। উপ্পারাপেট থানার পুলিশকেও জানানো হয়। পুলিশ দুই অভিযুক্ত মেহবুব ও উবেইদ পাশাকে গ্রেফতার করে। শিবকুমার আশা করছেন, দু’জন ধরা পড়ার পরে তাঁর মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। মোবাইলটি তাঁর স্ত্রী উপহার দিয়েছিলেন।
বেঙ্গালুরুতে অপর একটি ঘটনায় রবিবার রাতে এক দুষ্কৃতীর হামলায় আহত হয়েছে পুলিশ। দুষ্কৃতীর নাম তাবরেজ বিলাওয়ার। বাড়ি বিনোবা নগরে। তার বিরুদ্ধে ১৪টি ফৌজদারী মামলা ও ১১ টি ওয়ারেন্ট আছে। দীর্ঘদিন পুলিশ তার সন্ধান পায়নি। রবিবার জানা যায়, সে পূর্ব বেঙ্গালুরুর কে জি হল্লি অঞ্চলে এসেছে।
কে জি হল্লি থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর এডুইন প্রদীপ ও হেড কনস্টেবল শিবকুমার তার সন্ধানে বেরন। এক নির্জন জায়গায় তাবরেজ লুকিয়ে ছিল। সেখানে পুলিশকর্মীদের দেখে সে আক্রমণ করে। হেড কনস্টেবল শিবকুমার আহত হন। ইনস্পেক্টর প্রদীপ প্রথমে তাকে ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে গুলি চালান। তারপর গুলি চালান তার পায়ে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিবকুমারকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।