
অবসরের দিনই এই ঘটনা ঘটায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে চিন্তিত পুলিশ। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা – তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক থেকেই গুলিটি চলেছিল। অসাবধানতা বশত এই ঘটনা ঘটেছে কিনা, যদি তাই হয়ে থাকে তবে যে বন্দুক থেকে গুলি চলেছিল সেটি কার জিম্মায় ছিল সে কথা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইসিএলের কোয়ার্টার্সেই ওই ব্যক্তি থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে বিএসএফে কর্মরত, ছোট ছেলে এখনও বেকার।
এদিন ভোররাত তিনটে নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় মহেন্দ্রকে দেখতে পান তাঁর সহকর্মীরা। তখনই তাঁরা খবর দেন ইসিএল কর্তৃপক্ষকে, তাঁরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। জামুড়িয়া থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে চলে আসে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যেতেই বাধা দেন ইসিএলের কর্মীরা। তাঁরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করতে থাকেন। ইসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণ স্থির করবে। এই ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা জানতে তারা নিজেরা তদন্ত করবে। তাঁরা যে এই ঘটনার বিচার চান সে কথাও দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানিয়ে দেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে বিক্ষোভ বন্ধ হয়নি। ইসিএলের কর্মীরা জানিয়ে দেন যে নিহতের ছেলেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা দেহ নিয়ে যেতে দেবেন না। ইসিএলের কর্মীরা দাবি করেছেন, নিহতের ছেলের চাকরির প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরেই তাঁরা দেহ নিয়ে যেতে দিয়েছেন।
পুলিশ দেহটি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।