
এখন কৌতূহল হল সিবিএসই-তে কী প্রশ্ন এসেছিল?
একটি ইংরাজি অনুচ্ছেদ থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল, নারীদের স্বাধীনতার কারণেই কী ভাবে সামাজিক সমস্যাগুলি জটিল আকার নিচ্ছে? যে অনুচ্ছেদ থেকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল সেখানে লেখা ছিল, নারীদের এই অতিরিক্ত স্বাধীনতা পাওয়ার ফলেই সামাজিক সমস্যা বাড়ছে। স্ত্রীরা স্বামীর আনুগত্য মানছেন না। ফলে সন্তানরাও শৃঙ্খলাপরায়ণ হচ্ছে না। যা সামাজিক জীবনে অভিঘাত তৈরি করছে।
এদিন সনিয়া বলেন, মহিলাদের প্রতি এই অসম্মানজনক বিষয় কী ভাবে সিবিএসই-র মতো বোর্ড প্রশ্নপত্রে রাখতে পারে। গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে লজ্জাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, এটা তারই নমুনা। সেইসঙ্গে সংসদের জিরো আওয়ারের বক্তৃতায় সনিয়া আরও বলেন, “আমি সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা সচেতন থাকুন। এই ধরনের পশ্চাদগামী বিষয় যেখানে যেখানে রয়েছে তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
এ নিয়ে রাহুল গান্ধীও টুইট করে বিজেপি, আরএসএসের তীব্র সমালোচনা করেছেন। রাহুল বলেছেন, এ হল টিপিক্যাল বিজেপি-আরএসএসের মনোভাব। যা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎকে চুরমার করে দিতে চায়। পড়ুয়াদের উদ্দেশে রাহুল বলেছেন, “তোমরা ভাল করে পড়াশোনা করো। কিন্তু কখনও অন্ধবিশ্বাসে ডুবে যেও না।”
শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন নয়। অনেকের মতে, নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর থেকে তা আরও তীব্র গতিতে ছুটতে শুরু করেছে। দেশের একাধিক শিক্ষাবিদের বক্তব্য, যা ছিল এতদিন সঙ্ঘের সিলেবাস সেটাই এবারে আস্তে আস্তে মেইনস্ট্রিমে নিয়ে আসা হচ্ছে। সিবিএসই-র এই প্রশ্ন তারই প্রতিফলন।