
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের সমস্ত শহরেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম আগুন। কোনও কোনও জায়গায় তো সেঞ্চুরিও পেরিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছে না কোনও বিরোধী দলই। তবে এবার পাল্টা প্রশ্ন তুলল কেন্দ্রও। তাদের দাবি, রাজ্য সরকারগুলিও তো পেট্রোলের উপর চাপানো ট্যাক্সের পরিমাণ কমাতে পারে।
বাংলার তৃণমূল সরকারের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন, পেট্রোলের মূল্য ঐতিহাসিক ভাবে বেড়ে চসেছে। এবং বিজেপি সরকারের যা আচরণ, তাতে যেন মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের বিপদ বাড়ানোরই চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা। ২০২০ থেকেই এমনটা চলছে। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া অগ্রাহ্য করে পারস্পরিক দোষারোপের খেলা চলছেই।
As fuel prices hit a HISTORIC HIGH, @BJP4India govt. seems to be working very hard towards adding to the woes of the public.
Not much has changed from 2020. The same old blame game continues while the demands of the people of India are conveniently ignored! #ModiBabuPetrolBekabu https://t.co/blEuah3aEp
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 4, 2021
এই টুইটের উত্তরেই বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে, পেট্রোলের দাম জিএসটি-র আওতায় নয়। ফলে পেট্রোলের ওপর কতটা ট্যাক্স বসানো যেতে পারে, তা রাজ্য সরকারই ঠিক করে। ফলে যখন পেট্রোলের দাম বাড়ছে, তখন রাজ্য সরকারও তো ট্যাক্সের পরিমাণ কমাতে পারে খানিকটা। তাতে তো সাধারণ মানুষের খানিকটা সুরাহা হয়।
বিজেপির অফিসিয়াল পেজ থেকে লেখা হয়েছে, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী কী জন্য হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পেট্রোপণ্যের উপর চড়া ট্যাক্স বসিয়ে তা থেকে আয় বাড়াবে বলে? ৪২ শতাংশের যে ট্যাক্স ধার্য করেছে তৃণমূল সরকার, তা তো খানিক কমানো যেতে পারে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে।
42% of all taxes collected, go to the State government. Besides why hasn’t Mamata Banerjee reduced the State levy, which is among the highest across the States. Just because you need it to fund your syndicates? What have the people of Bengal elected TMC for? https://t.co/1MdvlagrbJ
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) July 4, 2021
এমনই সময়ে একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ভাইরাল। অটলবিহারী বাজপেয়ী একবার গরুর গাড়ি চড়ে সংসদে গিয়েছিলেন। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাঁর এই পদক্ষেপ দৃষ্টান্তমূলক। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বিজেপিরই মুখ। এ যেন একরকম ভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা সরকারকে।
তবে নিষ্ঠার সঙ্গে গাড়ি ব্যবহার না করে সাইকেল ব্যবহার করে পেট্রোলের দামের বিরুদ্ধে বড় সময় ধরে বার্তা দিয়েছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরজু পট্টনায়ক। ওঁর বাড়ি থেকে সেক্রেটারিয়েট অনেকটা পথ, সাইকেলে যেতেন তিনি।
তবে সে যাই হোক না কেন, পেট্রোলের চড়া দামে সাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে। কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর যতই বাড়ুক না কেন, পেট্রোলের দাম যদি না কমে, তাহলে বড়সড় সমস্যা থেকে যাবে তাঁদের।