
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal)। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এসে ‘ফুল’ বদল করেন সুমন।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে এখন বাংলায় পদ্ম শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা এসে দাঁড়াল ৬৯। ২০২১-এর পর এই নিয়ে ৬ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন। এমনিতেই আলিপুরদুয়ারে বিজেপির দখলেই ছিল। তবে সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে আসায় বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে আঁচড় দিল ঘাসফুল শিবির।
সুমনের এই দলবদলের খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, এবার কি তাহলে অভিষেক দরজা ফাঁক করেই দিলেন? প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘আমি যদি দরজাটা একবার খুলি না, তাহলে বিজেপি পার্টিটা উঠে যাবে।’ এরপরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি বাংলায় ফের একবার বিজেপির ভাঙন দেখা যাবে?
রবিবার যেন সেই জল্পনাই খানিক সত্যিই হল। বিজেপিতে সত্যিই ভাঙন দেখা গেল। গত ১০ জানুয়ারি রাজনৈতিক মহলে আরও একটি খবর সাড়া ফেলেছিল। শোনা গিয়েছিল, অভিষেকের ক্যমাক স্ট্রিটের অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন দু’জন বিজেপি বিধায়ক।
কিন্তু তাঁরা কারা? সে ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি শাসক দলের থেকে। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, ‘সময় এলেই জানতে পারবেন।’ রবিবার আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলের যোগদান নিয়ে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এবার সময় এসে গেছে। তবে এখনও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ১০ জানুয়ারি যে দু’জন বিজেপি বিধায়ক অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন যদি সুমন হন তো অন্য একজন কে? যদিও সে প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতেই হবে।
এদিকে বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা টুইটে প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন তৃণমূলে পতাকা তুলে দেওয়া হল না? বিধানসভায় সুমন কাঞ্জিলাল দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে বাঁচতে যাতে বিজেপি বিধায়ক বলে দাবি করতে পারেন তাই কী?’
শুভেন্দুর এই টুইটের পরেই পাল্টা বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে লেখেন, ‘জনসাধারণের কাছে টুইট করার আগে বাড়ি যান। সেখানে আপনার বাবা ও ভাইকে দলত্যাগ আইনের তত্ত্বটি বলুন।’
ত্রিপুরায় তৃণমূলের ইস্তেহার: অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিয়ে ঘোষণা বাংলার ‘মডেল’