
এদিন বিশ্বজিতের সরাসরি অভিযোগ, বনগাঁর সাংসদ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছেন। বিজেপি সবার জন্য কাজ করার কথা বলে। কিন্তু বনগাঁর সাংসদ তার উল্টোটা করছেন।
বিশ্বজিত্ আরও বলেছেন, ব্ল্যাকমেলিংয়ের রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। তবে কে তাঁকে ব্ল্যকমেল করছেন, কী নিয়েই বা করছেন সে ব্যাপারে কিছু খোলসা করেননি।
তবে তিনি যে গোটা বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, আমি পরে আবার আপনাদের সব জানাব। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি বিজেপি ছাড়ছেন? তাও স্পষ্ট করেননি বিশ্বজিত্।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, বনগাঁয় এক প্রকার একাধিপত্য কায়েম করতে চাইছেন শান্তনু ঠাকুর। বিশ্বজিৎকে বনগাঁ উত্তরের প্রার্থী করা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। শান্তনু চাইছেন, বনগাঁ লোকসভার আওতায় সাতটি বিধানসভা আসনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীরা টিকিট পান। তবে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, দুলাল বর, বিশ্বজিৎ দাসরা অনেক আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। তাঁদের নিজ নিজ আসনে প্রার্থী করার ব্যাপারে তখন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তার খেলাফ করলে ভুল বার্তা যেতে পারে।
কয়েকদিন আগে এই বিশ্বজিত্ই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রাণাম করেছিলেন। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন, “কীরে বিশ্বজিত্, ডিশিসন নিলি?” নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীল সিংও ছিলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে। পরে দুজন মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেন।
সেদিনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাহলে কি বিশ্বজিতের ঘর ওয়াপসি হচ্ছে? যদিও সন্ধ্যায় দেখা যায় হেস্টিংসে বিজেপি দফতরে গিয়েছেন বিশ্বজিত্, সুনীল। কারণ, ততক্ষণে ফোনে যোগাযোগ করে দুজনকেই বোঝানোর পালা চলে বলে খবর।
কিন্তু এদিন বিশ্বজিতের সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় নতুন করে জল্পনা উস্কে গিয়েছে। তবে অনেকে বলছেন, শান্তনুর ব্যাপারে দলের কাছে বার্তা দিতেই এদিন মুখ খুললেন তিনি।