
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Sagardighi Bypoll Election) আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। ব্লক সভাপতি তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়াত সুব্রত সাহার কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে শাসকদল। বুধবার প্রার্থী ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল অধীর চৌধুরীর জেলায় কী করবে কংগ্রেস-সিপিএম?
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বাম বা কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব কিছু স্পষ্ট করেনি। তবে জেলা নেতৃত্ব পুরোটাই ছেড়ে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধানভবনের ঘাড়ে।
যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারা ইতিমধ্যেই বাইরন বিশ্বাসকে প্রার্থী করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর থেকে। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দে দ্য ওয়াল-কে বলেন, “দলের নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভার প্রার্থী ঘোষণা প্রদেশ নেতৃত্ব করে। তাই এই ক্ষেত্রেও তাই হবে।”
তবে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের এই নেতা এও জানিয়েছেন, জেলা বামফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাঁরাও ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের সিপিএম জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “আসন সমঝোতা হবে কি হবে না তা ঠিক করার মালিক জেলা কমিটি নয়। এটা রাজ্য কমিটি করে থাকে। তাঁরাই এটা বলতে পারবেন।”
একুশের ভোটে এই আসনে সমঝোতা করেই লড়েছিল সিপিএম-কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চার তরফে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও তৃতীয় স্থান পেয়েছিল কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির মাফুজা খাতুন। প্রয়াত সুব্রত সাহা জিতেছিলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটে।
তবে তারপর থেকে যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে দেখা গেছে বিজেপি দ্বিতীয় স্থান পাচ্ছে না। শান্তিপুর, বালিগঞ্জে করুণ ছবি দেখা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের। সাগরদিঘীর ক্ষেত্রে কী হয় সেটাই দেখার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল বিজেপির প্রার্থী চয়নের বিষয়টি। একুশে সংখ্যালঘু মাফুজাকে প্রার্থী করেছিল তারা। এবার প্রার্থী দিলীপ সাহা।
কর ঘোষণায় ভেজাল, ‘২ লাখ দিয়ে আড়াই কেড়ে নিয়েছে’, বোঝানোর চেষ্টা মমতার