Latest News

Birbhum Violence: বিরোধীশূন্য করতে চেয়ে তৃণমূল এখন তৃণমূলকেই মারছে: সেলিম

দ্য ওয়াল ব্যুরো: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে নারকীয় ঘটনা (Birbhum Violence) ঘটে গিয়েছে তা নিয়ে সরাসরি তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন সিপিএমের (CPM) নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। এদিন ভিডিও বার্তায় সেলিম বলেন, ‘এই হল বিরোধী শূন্য রাজনীতির পরিণাম। তৃণমূলনেত্রী বিরোধী শূন্য রাজনীতির পথে হেঁটেছিলেন। এখন তৃণমূলই তৃণমূল শূন্য করার অভিযানে নেমেছে।’

সোমবার সন্ধেবেলা রামপুরহাটে খুন হয়েছিলেন বড়শোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। তারপর গভীর রাতে ওই গ্রামে লাইন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ভাদু শেখের লোকজনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কেন? কারণ, স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, ওই গ্রামের ওই পাড়ায় ভাদু শেখের বিপরীত গোষ্ঠীর নেতার অনুগামীদের বাড়ি।

রামপুরহাটের হিংসায় ক্লোজ করা হল ওসিকে, সরানো হল এসডিপিও-কেও

এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত দমকল জানিয়েছে, ১০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। দেহ লোপাট হয়েছে রাতের অন্ধকার থাকতেই। এ ব্যাপারে সেলিম বলেন, ‘ট্যাক্সির মিটারের মতো মৃত্যু বাড়ছে। প্রথমে শোনা গেল তিন জন। তারপর জানা গেল, তিন নয়, সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। দমকল বলছে ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন মৃত্যু সংখ্যা ১২-১৫ পর্যন্ত হতে পারে।

সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘কয়লা-বালির ভাগবাঁটোয়ারার কারণেই ভাদু শেখ খুন হয়েছেন। তারপর তৃণমূলের লোকজনই তৃণমূলের লোকজনকে পুড়িয়ে মারল। আর যাঁরা মাথায় অক্সিজেন কম যায়, সেই অনুব্রত মণ্ডল বলছেন টিভি ফেটে আগুন লেগেছে।”

রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, সাম্প্রতিক বাংলায় এই রকম হিংস্র ঘটনা ঘটেনি। অতীতে বাম জমানায় নানুরের সূচপুর, নেতাই, নন্দীগ্রাম—এসব বাংলার রাজনীতিতে মাইলফলক হয়ে রয়েছে। সেই কলঙ্কজনক তালিকায় নতুন সংযোজন রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম।

সেলিম আরও বলেন, ওর আশপাশের গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা-বন্দুক মজুত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে না। বরং শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে তৃণমূলের ক্রিমিনালদের পাহারা দিচ্ছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জানান, খুব তাড়াতাড়ি তিনি বা তাঁদের প্রতিনিধিদল ওই গ্রামে পৌঁছবে।

You might also like