
আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এদিন লোকসভায় বিলটি পেশ করে বলেন, লিঙ্গসাম্য ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই বিলটি পাশ হওয়া প্রয়োজন। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাকের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া সত্ত্বেও এই প্রথা বন্ধ হয়নি। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের পরে তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিয়ে ৫৭৪ টি মামলা হয়েছে।
এর আগের দফায় মোদী সরকার লোকসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ করাতে পারেনি। সেজন্য অধ্যাদেশ জারি করে ওই প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিন যে বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে, তার নাম মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ) বিল, ২০১৯।
রবিশংকর প্রসাদ বলেন, নতুন আইনের যাতে অপব্যবহার না হয়, সেজন্য কয়েকটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়া জামিন অযোগ্য অপরাধ। কিন্তু বিচার শুরু হওয়ার আগে অভিযুক্ত ব্যক্তি বিচারকের কাছে জামিন চাইতে পারেন। বিচারক স্ত্রীর কথা শুনে জামিন দিতে পারবেন।
বিরোধীরা বলেন, আইনভঙ্গকারীকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া উচিত নয়। এর পরিণাম মহিলাদের পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। তাছাড়া এই বিলে কেবল মুসলিম মহিলাদেরই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মের মানুষও স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেন।
কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, লোকসভায় এনডিএ-র যথেষ্ট গরিষ্ঠতা আছে ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সরকার সংসদীয় কমিটিকে এড়িয়ে যাবে। সেই কমিটিতেই এই ধরনের বিতর্কিত বিল নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য আইন করা হোক।