
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোজকার জীবনে এখন বাইক খুবই প্রয়োজনীয় যান হয়ে উঠেছে। অনেকের সারাদিন কাজ করেন বাইকে চেপে, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে। কিন্তু বর্ষাকালে রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরনো খুবই বিপজ্জনক। প্রতি বর্ষাতেই বাড়ে দুর্ঘটনার ঘটনা। তাই বর্ষা শুরুর আগে, আপনার জন্য রইল কিছু টিপস।
কেরলে বর্ষা ঢুকে গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়বে বহু প্রতীক্ষিত বর্ষা। রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। প্রবল তাপপ্রবাহ থেকে সাময়িক মুক্তি মিলেছে। কিন্তু এই বর্ষাকালে বাইক চালানোর সময় দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলুন। শুধু তাই নয়, এই মরশুমে নিজের বাইককে যত্নে রাখাও খুবই প্রয়োজন।
নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক চালান
বর্ষা মানেই দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। রাস্তা ভেজা থাকবে প্রায়শই। তাই ভেজা রাস্তার ওপর দিয়ে জোরে বাইক চালানো একেবারেই উচিত নয়। রাস্তায় কোনও বাঁক নেওয়ার সময় বাইকের গতি কমিয়ে আনুন। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা কম থাকবে।
ব্রেক পরীক্ষা করবেন
আপনার বাইকের ব্রেক ঠিক আছে কিনা, তা বর্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষা করে নিন। ব্রেক অয়েল ব্যবহার করুন। যাতে যেকোনও পরিস্থিতিতে ব্রেক কষলে দ্রুত কাজ করে। এতে বিপদ এড়ানো সম্ভব।
বাইকের চেন পরীক্ষা করতে হবে
বর্ষাকালে বাইকের চেনে ময়লা জমে যায়। তাই প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সেটা পরীক্ষা করুন। নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বাইকের চেনে যাতে জং না ধরে সেটা নজরে রাখা প্রয়োজন। চেনে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করবেন প্রয়োজন মতো।
বাইকের টায়ার পরীক্ষা করুন
বাইকের টায়ারের যত্ন নিন। বর্ষা শুরুর আগে আপনার বাইকে টায়ার ঠিক আছে কিনা, হাওয়া আছে কিনা— এইসব খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দিন। ভাল মানের টায়ার বাইকের রোড গ্রিপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।হাই স্পিডে ব্রেক কষলেও ভেজা রাস্তায় চাকা স্কিড করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়।
বৃষ্টির মধ্যে হেডলাইন জ্বালিয়ে রাখুন
বর্ষা মানেই অনবরত বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সময় অবশ্যই নিজের বাইকের হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখবেন। যদিও এখন প্রায় সববাইকেই সবসময় হেডলাইন জ্বালানো বাধ্যতামূলক। বাইক চালু করলেই অটোমেটিক ভাবেই হেডলাইট জ্বলে ওঠে। এতে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
রেনকোট ব্যবহার করুন
বর্ষাকালে কখন বৃষ্টি হবে তার কোনও পূর্বাভাস থাকে না। ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই রেনকোট সঙ্গে রাখুন। ছাতা হাতে বাইক চালানো খুবই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে রেনকোট আপনাকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করবে।
এক চার্জেই ৪৫০ কিমি যেতে পারবেন, দামও সাধ্যের মধ্যে! বৈদ্যুতিন গাড়ির দুনিয়ায় টাটার নতুন মডেল