
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেই হয়তো বলে সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি! বছর দুয়েক আগে পথ দুর্ঘটনায় একটা পা হারিয়েছিল বিহারের (Bihar) স্কুলছাত্রী সীমা। দশ বছর বয়সি মেয়ে পা হারালেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। এক কিলোমিটার পথ রোজ লাফিয়ে লাফিয়েই স্কুল পৌঁছত সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গল্প ভাইরাল হওয়ার পর এখন সীমা নিজের দুই পায়ে ভর দিয়েই স্কুল যায় (Artificial Limb)।
আরও পড়ুন: দেশে হচ্ছেটা কী! কেরলে উগ্রবাদীদের মিছিল নিয়ে বলল হাইকোর্ট
নকল পা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে সীমার শরীরে। বিহারের (Bihar) শিক্ষা দফতর থেকেই নকল সেই পায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর স্কুলে যাওয়ার সময় লাফাতে হয় না ছোট্ট সীমাকে। দুই পায়ে ভর দিয়েই স্কুল পৌঁছে যায় সে।
জানা গেছে দু’বছর আগে এক দুর্ঘটনায় একটা পা বাদ দিতে হয়েছিল সীমার (Bihar)। কিন্তু ওইটুকু মেয়ে হলে কী হবে, জীবনের লড়াইয়ে হার মানার পাত্রী সে নয়। কিছুতেই সে পায়ের জন্য নিজের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে দেয়নি। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব এক কিলোমিটার। সে পথ মসৃণ নয়, এবড়োখেবড়ো। তবে সেই পথটুকু রোজ এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়েই পেরিয়ে যেত বাচ্চা মেয়েটা। স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করত বাকিদের মতোই।
সীমার লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুল যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই থেকেই তা চোখে পড়ে অনেকের। সরকারি আধিকারিকরাও সীমার লড়াই দেখতে পান। বিহারের মন্ত্রী অশোক চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্যের আবেদন জানান। জামুই জেলার আধিকারিকরা সীমাকে একটি ট্রাইসাইকেল দিয়েছিলেন। স্কুলে যেতে তা ব্যবহারও করত সে।
সীমার লড়াই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই চোখে পড়ে বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের। তিনিও সাহায্যের আশ্বাস দেন। টুইটারে লেখেন সীমাকে এক পা নিয়ে আর লাফাতে হবে না। সে দু’পায়ে হেঁটেই স্কুলে যাবে। তবে সূত্রের খবর সীমার শরীরে আর্টিফিসিয়াল লিম্ব বসানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফেই।