
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উনিশের ভোটের আগে গত বছর রাজ্য বাজেটে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের বেতন দু’হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের এক লক্ষ যুবক-যুবতীকে বছরে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা হয়েছিল।
উনিশের থেকে বড় পরীক্ষা এবার একুশে। ফলে কাল বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্য বাজেট পেশ করার আগে তৃণমূলের মধ্যেই কৌতূহল, নতুন কী কী ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
এমনিতে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা ভাল নয়। ঋণ ও সুদের বোঝা রয়েছে। উপরি প্রকৃত রাজস্ব বৃদ্ধিও তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। তবে ভোট বড় বালাই। তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, গ্রাম ও পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের জন্য বাজেটে নতুন প্রকল্প ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলের এক শীর্ষ মন্ত্রীর কথায়, এক সময়ে সরকারের মধ্যেই আলোচনা হয়েছিল তামিলনাড়ুর আম্মা ক্যান্টিনের মতো বাংলাতেও যদি কোনও পরিষেবা শুরু করতে পারে সরকার। তামিলনাড়ুর আম্মা ক্যান্টিনে ২ টাকায় পেটপুরে খাওয়া যায়। তেমনই বাংলাতেও ৫ টাকায় ডাল ভাত কিংবা ১০ টাকায় পেটপুরে ডাল, ভাত, সবজি, ডিম খাওয়ানো যায় কিনা সে ব্যাপারে সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। তেমন কোনও প্রকল্প বাজেটে ঘোষণা হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
আবার তৃণমূলের অন্য একটি সূত্রে খবর, রাজ্যের যুব সমাজের মন পেতে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার সময়ে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে ল্যাপটপ দেওয়ার ব্যাপারেও সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এমনকী তখন এই আলোচনাও হয়েছিল ক্যান্টিন চালানোর জন্য রেকারিং খরচ হবে সরকারের। তুলনায় ছাত্রছাত্রীদের ল্যাপটপ দেওয়ার খরচ কম। ফলে সেই ধরনের কোনও প্রকল্প ঘোষণার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
শাসক দলের এক নেতার কথায়, রাজ্যের কোষাগারের যা অবস্থা তাতে খয়রাতির সুযোগ কম। আবার এ-ও ঘটনা যে ভোট বছরে কিছু একটা জনমোহিনী ঘোষণা করা রাজনৈতিক ভাবে ইতিবাচক ফল দিতে পারে। দিল্লিতে ঠিক যে ভাবে পপুলিজমের রাস্তায় হেঁটে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার একটা ‘উপভোক্তা শ্রেণি’ তৈরি করে ফেলতে পেরেছে, দিদিও সেই চেষ্টা অনেক দিন ধরেই করছেন। ২০১৬ সালের ভোটে তা অনেকটা কাজেও লেগেছে। এবং সেই কারণেই কালকের বাজেটে কিছু চমক আশা করছেন দলের বহু নেতা বিধায়ক।