
ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। অবিকল দৃশ্যম ছবির কাহিনি অনুযায়ী কাজ করে গেছে ওই পরিবারের সকলে। উদ্দেশ্য একটাই, বিলাসিতায় ভরা একটা জীবন চাই, সকলের।
দৃশ্যম ছবি যাঁরা দেখেননি, তাঁদের জেনে রাখা ভাল, এই ছবিতে একই বাড়ির সকলে একই গল্প বলে বলে একই পথে অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে চলে। সকলে সে গল্প বিশ্বাসও করে নেয়।
বেঙ্গালুরুর এই পরিবারের অবস্থাও অনেকটা তেমন। পরিবারের পাঁচজন এবং তাদের আরও দুই কাছের আত্মীয় দৃশ্যম ছবির প্লট অনুযায়ী কাজ করে। প্রথমবার তা করে পারও পেয়ে যায়। সেই সাফল্য নিজেদের মতো করে উদযাপন করে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর তা হয় না।
পরিবারের কর্তা ৫৫ বছর বয়সি রবিপ্রকাশ এই প্লটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে এবং জামাই তাঁর নেতৃত্বে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করছিলেন। সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ির ড্রাইভার আর তার এক বন্ধুও।
কী করেছেন তাঁরা?
নিজেদের বাড়ির সমস্ত গয়না নিয়ে বন্ধক রেখেছিলেন এক দালালের কাছে। তারপর পুলিশের কাছে গিয়ে বলেছিলেন তাঁদের বাড়িতে চুরি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত তল্লাশি করে গয়না বের করে দিয়েছিল তাঁদের সকলকে। এতে গয়না যেমন তারা ফেরত পেয়েছিলেন, তেমনই উপরি টাকা পেয়ছিলেন সেই দালালের কাছ থেকে।
প্রথমবারের পরিকল্পনা সফল হলে এরপর ফের একই প্লটে মাঠে নামে ওই পরিবার। এবার তাঁদের কারবার ছিল মোট ১ হাজার ২৫০ গ্রাম সোনা নিয়ে। ওই সোনা একাধিক দালালের কাছে রেখে দেয় তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ওই পরিবারের তরফে ফের থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বলা হয় প্রচুর সোনা আর ৩০ হাজার টাকা সমেত একটি ব্যাগ চুরি গেছে।
এরপরই কিছুটা সন্দেহ হয় পুলিশের। একই গল্প বার বার শুনে চক্রান্তের গন্ধ পায় তারা। একটু ঘাঁটতেই বেরিয়ে পড়ে আসল সত্যিটা। বলিউডের ছবি দেখে এমন প্ল্যান করার ঘটনা সামনে আসতেই হতভম্ব পুলিশ। গোটা এলাকাতেও যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।