
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৩ মার্চ খবর এসেছিল, তাঁদের বাণিজ্য জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধির’ উপর ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া (Bengali died in Ukraine)। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করেছিল জাহাজটি। যুদ্ধের মাঝে পড়ে আর সেখান থাকে বেরোতে পারেনি। সেদিন ওই হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছিলেন বাঙালি ছেলে হাদিসুর রহমান। সোমবার দুপুরে তুর্কি এয়ারলাইন্সের বিমানে সেই হাদিসুরের দেহ পৌঁছলো ঢাকায়।
বিমানবন্দর থেকে সোজা হাদিসুর রহমানের দেহ পৌঁছে যায় বাংলাদেশের বরগুনার বেতাগী উপজেলার গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর বাবা-মা আত্মীয় স্বজনেরা।
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে অনেক দিন ধরেই কর্মরত ছিলেন হাদিসুর। ওই জাহাজে তিনি ছিলেন থার্ড ইঞ্জিনিয়ার। তবে জাহাজে থাকা বাকি নাবিক ও বাকি কর্মীরা বেশিরভাগই বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন। কারণ, ঘটনার উপক্রম দেখেই তাঁদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সোমবার ১১ দিনের মাথায় হাদিসুরের দেহ দেশে ফিরল। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন হাদিসুরের বাড়ির লোকজন। বিমানবন্দরের গেটে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন তাঁর মাসি শিরিন আখতার। হাদিসুরের নাম ধরে শোকে বিলাপ করছিলেন তাঁর পরিবারের অন্যরাও। মমতাজ জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি হাদিসুরের সঙ্গে তাঁর শেষ কথা হয়েছিল। সেদিন হাদিসুরকে তিনি বলেছিলেন, ‘তুই এ বার এসে বিয়ে করে যাস। হাদিসুর বলেছিলেন, তুমি মেয়ে দেখো। আমি আর অমত করব না। ফিরেই বিয়ে করে নেব।’
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আগামীকাল হাদিসুরের দেহ কবর দেওয়া হবে। পারিবারিক কবরস্থানেই তাঁর দেহ কবর দেওয়া হবে। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনা জানা যাওয়া থেকেই গোটা গ্রামে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হাদিসুরের পরিবার যেন এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না যে, তাঁদের সন্তান আর নেই।
হিজাব মামলার রায় মঙ্গলবার, জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি সরকারের