
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘অশনি’ বাংলায় সেভাবে প্রভাব না ফেললেও আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে থাকা রাজ্যবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। তবে কয়েকদিন আগেও তাপপ্রবাহের জেরে তেতে ছিল বাংলা (West Bengal)। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গ। চাতক পাখির মত বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। স্বস্তির খোঁজে ঠান্ডা পানীয়র দিকেই ঝুঁকছিল মানুষের মন। লস্যি, দই, শরবতের চাহিদা যেমন বাড়ছিল তেমনই বাড়ছিল বিয়ারের (Beer Sell) চাহিদা। ঠান্ডা সোনালি তরল গলায় ঢেলে খানিক স্বস্তি পেতে চাইছিলেন অনেকেই। যার জেরেই এবার রাজ্যের কোষাগারে লক্ষ্মীলাভ!
গত দুই মাসে তীব্র গরমে বিয়ার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে বাংলা। জানা যাচ্ছে, প্রতিদিনে গড়ে ২০ লক্ষ বাক্স বিয়ার বিক্রি হয়েছে এই সময়ে। ভেঙে দিয়েছে আগের সব রেকর্ড। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, দ্বিগুণ পরিমাণ বিয়ার বিক্রি হয়েছে এবার। আর তার ফলেই রাজ্যের কোষাগারে ঢুকেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা!
বিয়ারের এত চাহিদা ছিল এবার তার প্রমাণ আগেই মিলেছিল। রাজ্যে বিয়ার সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। ২০১৯ সালেও এই সোনালি তরলের চাহিদা ছিল, তবে এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি সেই সময়। সেই চাহিদা মেটাতেই বিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটগুলির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর।
২০২১ সালে সব থেকে বেশি মদ বিক্রি করেছিল আবগারি দফতর। দেশি মদ বিক্রি করেই বিপুল আয় করেছিল রাজ্য। এবার রেকর্ড বিয়ারের বিক্রিতে।
অতিরিক্ত গরমের জন্যই বিয়ারের বিক্রি বেড়েছে বলে মত অনেকের। পর্যবেক্ষকদের মতে, অতিরিক্ত গরমে মদের থেকে বিয়ারের চাহিদা সর্বদাই বেশি থাকে। এই ঠান্ডা পানীয় মনের স্বাদ ও গলার তেষ্টা দুইই মেটায়। বিক্রি বাড়লেও তার পরিমাণ যে এত হবে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই।
খেলতে খেলতে গলায় ফাঁস! ক্লাস সিক্সের ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া হাওড়ায়