
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক (RSS General Secretary) দত্তাত্রেয় হসাবলে বৃহত্তম হিন্দু সমাজ (hindu) গড়ার ডাক দিলেন। তাঁর বক্তব্য, গো মাংস ভক্ষণকারীদের (Beef eaters) অচ্ছুত করে (untouchable) রাখা চলবে না। তাদের কাছে টানতে হবে।
তাঁর কথায়, ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু। হতে পারে সকলের ঈশ্বর আরাধনার পদ্ধতি এক নয়। তবে ধর্ম নির্বিশেষে সব ভারতীয়র ডিএনএ অভিন্ন।
আরএসএসের এই শীর্ষকর্তার মতে, হিন্দুদের ঠিক করতে হবে এদেশে তারা কাদের হিন্দু মনে করে। আচার ব্যবহার পৃথক হলেও হিন্দু আসলে সকলেই।
সঙ্ঘ কর্তার যোধপুরে বলা এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চা চলছে। বছর আড়াই আগে তিনি সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সময়ই বলা হয়েছিল, হসাবলে হলেন, একবিংশ শতাব্দীর আরএসএস নেতা। যিনি তুলনামূলকভাবে মুক্তমনা মানুষ। তাঁর নীতি হল, ২০২৫ এ সঙ্ঘের শতবর্ষের আগে সংগঠনের সঙ্গে ও হিন্দুদের সংঘাত কমিয়ে আনা।
মাস কয়েক আগে একই ভাবনার কথা শোনা গিয়েছে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের কথাতেও। ৭৩ বছর বয়সি ভাগবত আরএসএসের রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চের সভায় বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা আদতে হিন্দু। অতীতের ভুলের দায় তাদের উপর চাপানো যায় না। তাদের কাছে টেনে নিতে হবে।
মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির দাবির বিরোধিতা করে ভাগবত বলেন, মসজিদের নিচে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টা বন্ধ হোক।
যদিও আরএসএস কর্তাদের এই সব বক্তব্যকে অনেকেই উদারতা বলে মানতে নারাজ। তাদের মতে, এই সব কথার মধ্য দিয়ে ভাগবতরা আসলে মুসলিম সহ সংখ্যালঘুদের বার্তা দিচ্ছেন হিন্দু সংস্কৃতি গ্রহণের। কারণ সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে আছে নানা ধর্মীয় বিধান।
আদানির শেয়ারে ভয়ানক ধস, কেনাবেচা স্থগিত, অনাস্থার আবহে দাউ জোনস থেকে ছিটকে গেল