
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রোজ একসঙ্গে বাজারে সবজি বিক্রি করতেন কাকাশ্বশুর ও জামাই। ফিরে এসে গ্রামের মদের ঠেকে পাশাপাশি বসে গ্লাসে চুমুকও দিতেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে যে এমন হবে কে জানত। মদের ঠেকেই বচসা শুরু। সেখান থেকে হাতাহাতি। তারপর নেশার ঘোরে, রাগের মাথায় কাকাশ্বশুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলল জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশপুর গ্রামে (Basanti Murder)। মৃতের নাম সমীর সর্দার (৪৩)।
মঙ্গলবার রাতেই গ্রামের একটি জায়গা থেকে জামাই দুরন্ত সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে নিহত সমীরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ (Basanti Murder)।
মানুষের জীবন ভাল লাগে না, নিজেকে আস্ত ‘কুকুর’ বানিয়ে ফেললেন যুবক! খরচ হল ১১ লাখ
জানা গিয়েছে, সমীরের ভাই পলান সর্দারের মেয়ের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই দুরন্ত সর্দারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতে সমীর এবং দুরন্তর মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল না। তারা একসঙ্গে সবজি বিক্রি করত। আবার সন্ধে হলে দু’জন মিলেই গ্রামের মদের ঠেকে আসত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল মদের আসরেই ভাইঝির কিছু সমস্যা নিয়ে দুরন্তর কাছে অভিযোগ করেন সমীর। কার্যত জামাইকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, তাঁর ভাইঝির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে। এককথা, দু’কথায় শুরু হয় বচসা। জানা গিয়েছে সেই সময়েই সাইকেলে সবজি বাঁধার বাঁধ খুলে দুরন্তর দিকে তেড়ে যান সমীর। পাল্টা তাঁর হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে কাকাশ্বশুরকে ফেলে পেটাতে থাকে জামাই দুরন্ত।
স্থানীয়ররা সমীরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।