
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা জানা প্রার্থীরাই অগ্রাধিকার পাবে। গতকাল, বুধবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা স্পষ্ট জানিয়েছেন।
তাঁর বক্তব্য, বাংলায় যে কর্মসংস্থান হচ্ছে তাতে অগ্রাধিকার পাবে যারা বাংলা ভাষা বলতে ও লিখতে-পড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটা বেসরকারি কর্মসংস্থানের প্রেক্ষিতে যেমন সত্য তেমনি সকল রাজ্য সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সত্য। এই মর্মে মুখ্যসচিবকে কমিশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন।
এই একই দাবিতে বহুদিন ধরেই সরব ‘বাংলাপক্ষ’ সংগঠন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণায় খুশি। কিন্তু পাশাপাশি এই ঘোষণাকে আইনে পরিণত করারও দাবি তুলেছেন বাংলাপক্ষ-র সভাপতি গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
গর্গ ‘দ্য ওয়াল’কে ফোনে বলেন, ‘ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিহারের মানুষের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব বিহার সরকারের, উত্তরপ্রদেশের মানুষের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সরকারের। বাংলায় কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার পাবে বাংলার মানুষ। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানায়। একই সাথে বাংলা পক্ষ বাংলায় সকল বেসরকারি কাজে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ এবং রাজ্য সরকারি কাজে বাংলা ভাষার পরীক্ষা দিয়ে ১০০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানায়।’
বাংলাপক্ষে-র এই কর্তার বক্তব্য, গত ৪ বছর ধরে বাংলা পক্ষ বাংলার প্রতিটি জেলায় সভা, মিটিং, লিফলেট, সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে। এর ফলে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আজ বাংলায় বাঙালি জাতির তথা সকল ভূমিপুত্রর গণদাবিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার সরকারের দায়িত্ব বাংলায় বাঙালি সহ বাংলার সকল মানুষের গণদাবিকে বাংলায় আইনে রূপান্তরিত করা।
তাঁর অভিযোগ, বাংলায় কাজ আছে, কিন্তু বাঙালির কাজ নেই। শিল্পাঞ্চলে পুঁজি, ব্যবসা, টেন্ডার বহিরাগতদের দখলে। মালিকানা থেকে শুরু করে কর্মচারী, শ্রমিক, ঠিকাদার সবক্ষেত্রে তারা বহিরাগত স্বজাতীদের নেয়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ওই বক্তব্যকে সরকারি নিয়ম ও আইনে রূপান্তরিত করার দাবিতে বাংলা পক্ষর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।