
মোদী-হাসিনা বৈঠক, পাঁচটি মউ স্বাক্ষর ভারত, বাংলাদেশের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের সংখ্যালঘুদের জন্য চোখের জল ফেলা পাকিস্তানপন্থী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রবল বিরোধী কট্টরপন্থী মৌলবাদীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন সেখানকার নানা জায়গায় প্রবল ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভ মোকাবিলায় নামা নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, যার জেরে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। কিন্তু কট্টরপন্থীদের বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে দুটি দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্য়েই পদক্ষেপ করলেন নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানা ক্ষেত্রে পাঁচটি বোঝাপড়া চুক্তি করেছে দুদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে দুদেশের মধ্যে সংযোগ, শক্তি, বাণিজ্য়, স্বাস্থ্য় ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোয় কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
করোনাভাইরাস অতিমারী ছড়ানোর পর প্রথম বিদেশ সফরে বাংলাদেশকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মোদী-হাসিনা আলোচনার পর ঘন্টাখানেকেরও বেশি বৈঠক হয় দুটি দেশের সরকারি অফিসার, প্রতিনিধিদলের।
এ ব্যাপারে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ট্যুইট করেছেন, শক্তি সংহত করে সম্পর্ক এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য, বাণিজ্য়, যোগাযোগ, শক্তি, উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতা ও আরও বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ক্রীড়া, তথ্য় ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য়, যোগাযোগের মতো বিষয়ে দুতরফ পাঁচটি মউ স্বাক্ষর করেছে।
বাংলাদেশের প্রতি মানবিক পদক্ষেপের পরিচয় হিসাবে হাসিনার হাতে ১০৯টি অ্য়াম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন মোদী। বাংলাদেশকে ভারতের তরফ থেকে উপহার হিসাবে ১.২ মিলিয়ন কোভিড ভ্য়াকসিন ডোজের একটি প্রতীকী বাক্সও তাঁকে দেন তিনি। হাসিনা তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে একটি সোনা ও রুপোর মুদ্রা উপহার দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৫০তম বর্ষপূর্তিতেও প্রকাশিত একটি রুপোর কয়েন উপহার দেন তাঁকে।
দুই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কয়েকটি প্রকল্পেরও সূচনা করেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর তাঁরা ভার্চুয়াল সম্মেলন করেন। সেখানে মোদী বাংলাদেশকে নয়াদিল্লির ‘আগে প্রতিবেশী’ পলিসির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন। হাসিনাও ভারতকে সত্য়িকারের বন্ধু বলে উল্লেখ করে বলেন, নিজেদের অর্থনীতিকে আরও সুসংহত করে, যোগাযোগ আরও গভীর করে ভারত, বাংলাদেশ বিশ্ব ও আঞ্চলিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।