
জাতিসংঘের প্রস্তাবে মুজিবের বিদেশ নীতি, খুশি বাংলাদেশ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ মুজিবুরের (Sheikh Mujibur) একটি ঐতিহাসিক ভাষণ ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর ‘বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতির পিতার বিদেশ নীতির মূল কথা জায়গা পেল রাষ্ট্রসংঘের একটি দলিলে। এই খবরে খুশি বাংলাদেশ।
জাতিসংঘে গতকাল ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ ডায়লগ অ্যাজ গ্যারান্টি অফ পিস, ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব গতকাল গৃহীত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে শেখ মুজিবুরের গৃহীত বিদেশ নীতির মূল কথা ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ অংশটি। এটি হল ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত মুজিবুরের ভাষণের একটি অংশ। মুজিবুরের ভাষণের এই উক্তিটিই পরবর্তীকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল ঘোষণা হিসাবে গৃহীত হয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণে ওই লাইনটি বলেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গতকালই ছিল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখনও পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতি হয়নি। কিন্তু ভারতীয় সেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনী ঢাকার একাংশ এবং আশপাশের এলাকাকে পাক সেনার দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়। ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পাক বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘দারিদ্র, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং পুনর্গঠন সহযোগিতা, সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও প্রতি বিদ্বেষ নয় মর্মে জোর দেওয়া হলে তা উদ্দেশ্যগুলি অর্জনে সহায়তা করবে।’ নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের শেখ মুজিবুরের প্রদত্ত ভাষণকে ভিত্তি করে এই প্রস্তাবের অনুচ্ছেদটি রচনা করা হয়।
এর আগে শেখ মুজিবুরের যে ভাষণটি ২০১৭ সালে ইউনেসকোর স্বীকৃতি পায় সেটি ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল ঘোষণা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সমাবেশে মুজিবুরের ভাষণে ছিল সেই ঐতিহাসিক উক্তি, ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
নোটবন্দির সিদ্ধান্ত আদালতের বিচার্য হতে পারে না, সুপ্রিম কোর্টে দাবি মোদী সরকারের