
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) দিল আদালত। সেই সঙ্গে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারপতিরা। বুধবার দুপুরে ঢাকার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল দু’বছর আগে। ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন আবরার ফাহাদ। ভারত-বাংলাদেশ জলচুক্তি প্রসঙ্গে সেই পোস্ট করেছিলেন তিনি। তার পরই তাঁকে ক্রিকেট ব্যাট ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক দল ছাত্র। তারা কমবেশি সকলেই শাসক দল আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের সদস্য ছিলেন। পঁচিশ ছাত্র ছিল এই মারধরের নেপথ্যে।
এদিন আদালত রায় ঘোষণার পর ফাহাজের বাবা বরকত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়ে আমি খুশি। আশা করি দোষীরা খুব শিগগির শাস্তি পাবে।”
আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারা ছিল যেমন নারকীয়, তেমনই এক সঙ্গে ২০ জন ছাত্রের মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। গোটা বিশ্ব জুড়ে যখন মৃত্যুদণ্ড নিয়ে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে, তখন এমন একটা রায়ের পর যে কথা হবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “আপাতভাবে দেখে মনে হচ্ছে যে এ মামলায় প্রকৃত ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার তথা রাষ্ট্র প্রমাণ করতে পেরেছে যে দেশে আইনের শাসন রয়েছে”। তাঁর কথায়, “এখন কোনওরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অপরাধী ঘুরে বেড়াতে পারবে না। তারা রাজনীতি করতে পারবে না”।
২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়াও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই ফাহাদের মতোই বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সকলেরই বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তবে সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা এই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।