দ্য ওয়াল ব্যুরো: গুরুদেবের হাত ধরে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে স্ত্রী! খোঁজ পাওয়া তো দূরের কথা, ফোনেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এদিকে, বাড়িতে তাঁর তিন সন্তান। মা’কে দেখতে না পেয়ে খুদেরাও কেঁদে ভাসাচ্ছে। একদিকে বৌ নেই, অন্যদিকে বাচ্চারা খাওয়া-নাওয়া ভুলে মনমরা হয়ে বসে। সবমিলিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন অসহায় স্বামী। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ময়মনসিংহে।
জানা গেছে, মাসখানেক আগে ময়মনসিংহের টিকুরিয়া গ্রামের (Bangladesh) বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৩৫)-এর সঙ্গে পরিচয় হয় হীরণপুর গ্রামের ফকির ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহ (৬০)-এর। দেড় মাস আগে ওই ফকির ভক্ত শফিকুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকেই খেতার সেবা করতেন শফিকুলের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৩৩)। মাঝেমধ্যেই ভালো মন্দ রেঁধে বেড়ে খাওয়াতেন সেই গুরুদেবকে। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে আলাপ আরও গভীর হয় এবং ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: বড়সড় কিছু করো! উদয়পুর কাণ্ডে পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত উস্কানি দিত সলমন ভাই
শফিকুল জানান, গত ২২ জুন রাবিয়াকে নিয়ে তাঁর বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন খেতা শাহ। এরপর তাঁরা আর বাড়ি ফেরেননি। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের খোঁজ করেও গুরু এবং স্ত্রীর কোনও খবর পাননি শফিকুল। এমনকী, গুরুদেবের মোবাইল ফোনটিও সুইচ অফ। অর্থাৎ, গুরুর হাত ধরেই যে বৌ ঘর ছেড়েছে এমনটাই মনে করছেন তিনি। এভাবে স্ত্রী সংসার ছেড়ে যাওয়ায় কার্যত দিশেহারা শফিকুল। বলেছেন, ‘নিজেকে পাগল পাগল লাগছে’।
ওপার বাংলার (Bangladesh) এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার গুরু যে একজন লম্পট এবং প্রতারক তা প্রথমে বুঝতে পারিনি।” তবে শফিকুলের ধারণা, রাবিয়াকে ভুল বুঝিয়েছে সেই ব্যক্তি। কারণ তাঁর স্ত্রী এভাবে ঘর ছাড়ার মহিলা নন। তিনি জানান, “নানা ভাবে আমার স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেছে ওই ফেরেব্বাজ। মনে হচ্ছে বৌ কোনও বিপদে রয়েছে।”
এই পরিস্থিতিতে রাবিয়াকে খুঁজে বার করতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শফিকুল। ভন্ড ওই ফকিরের নামে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় থানায়। অভিযোগ করেছেন, বাড়ি থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এদিকে, সেই থানার আধিকারিক বলেন, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও ওই ব্যক্তি ও মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।