
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে (Bangladesh) এবার ৩২ হাজারের কিছু বেশি মণ্ডপে দুর্গাপুজো (Durga puja) হবে। ঢাকায় সর্বজনীন পুজোর সংখ্যা এবার ২৪১টি।
গত বছর কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ধর্ম অবমাননার ভুয়ো অভিযোগকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ (communal unrest) তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে শেখ হাসিনার সরকার এবার বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ (taking precautions) করেছে।
সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এবার পুজোর সব দিন ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপে যৌথ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারমধ্যে একটি হল, নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি। সেই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, পুজোর দিনগুলি ২৪ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। সব মণ্ডপ কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ মানতে হবে। সেই সঙ্গে সব মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সব পুজো কমিটির পক্ষে কি সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব? মন্ত্রী বলেন, তেমন দাম নয় সিসি ক্যামেরার। তাছাড়া, ভাড়াও পাওয়া যায়। সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে এইটুকু আয়োজনের খরচ পুজো কমিটিগুলিকে বহন করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর দেশে পূজামণ্ডপের সংখ্যা গতবারের তুলনায় বাড়ছে। এ বছর মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।
গত বছর কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজা মণ্ডপের ঘটনা মাথায় রেখে এবারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে বলেছি, প্রতিটি মণ্ডপে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) থাকা বাধ্যতামূলক। আর সারাক্ষণ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল থাকতে হবে। পুলিশ সদরদপ্তর আর জেলা পর্যায়ে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
পুজোর সময় নাশকাতর শঙ্কা আছে কি না, এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দাদের কাছে তেমন কোনও খবর নেই। ওই ধরনের তথ্য পাওয়া গেলে গোয়েন্দারা ব্যবস্থা নেবেন।’
গতবছরের দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লা শহরে একটি মন্দিরে কোরান অবমাননার ভুয়ো অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। কুমিল্লার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও রংপুরেও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এবারে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে তাতে সম্প্রীতির বাংলাদেশে আর কোনও অঘটনা ঘটবে না বলেই তিনি আশা করছেন।
পুজোর আগেই রাতের অন্ধকারে ফের দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশে