
অমল সরকার, ঢাকা
ভদ্রলোকের বয়স পঞ্চাশও পেরোয়নি শুনে, গোড়ায় অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম, বার্ধক্য বড় অকালে বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। কথা শুরু হতে বোঝা গেল, শরীর ভেঙে বছর সত্তরের বৃদ্ধ বনে যাওয়া প্রৌঢ়ের মনে কী ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তিনি এবং এ তল্লাটের আরও অনেকে লোক মারফত খবর পেয়েছেন, দেশের মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলা হয়েছে তাঁদের জন্মভিটে। ফলে কীসের দেশ, আর কীসের বাড়ি!
প্রৌঢ় নজির আহমেদের কথায় গলা মেলান আমিরুল্লাহ খান, আবদুর রহমান, মহম্মদ জসিমুদ্দিনেরা। বার্মার মায়ানমার বনে যাওয়ার মতোই সে দেশে তাঁদের জন্মভিটে রাখাইন প্রদেশের বুতিদং, তামবাজারের নামও বদলে গিয়েছে। ফলে কোনও দিন ভিটেয় ফেরার সুযোগ এলেও নিজেদের নাগরিক প্রমাণ করা অসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে। তবে সে সব পরের কথা, এখন অনেক বড় প্রশ্ন, বেঁচে থাকতে সত্যিই ফেরা হবে কি আপন দেশে? শীতের পড়ন্ত বিকেলে, উত্তাল বঙ্গোপসাগরের দমকা হাওয়ায় হারিয়ে যায় জবাব। পাঁচ বছর আগে এই মরণ-সাগর পেরিয়েই বাংলাদেশ সরকারের আশ্রয় শিবিরে (Bangladesh Rohingya Camp) এসে উঠেছেন তাঁরা।

নজির আহমেদদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল কুতুপালংয়ের শরণার্থী শিবিরে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন শহর কক্সবাজারের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বৃহত্তম ক্যাম্প এটি। গোটা বিশ্বের ভ্রমণবিলাসীদের কাছে কক্সবাজার তাঁর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর দীর্ঘ, অখণ্ড বালু বিছানো সমুদ্র সৈকতের জন্য অতি পরিচিত নাম। একই সঙ্গে সেটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যবন্দর। অদূরে রামুতে রয়েছে ৩৫টি নয়নাভিরাম বৌদ্ধ মন্দির এবং বুদ্ধের একশো ফুট লম্বা সিংহসজ্জা মূর্তি।
কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এই জেলাটির নাম আসে মায়ানমারে নির্যাতিত, বিতাড়িত, লাখ বারো রোহিঙ্গার জন্য। শেখ হাসিনার সরকার তাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার ঋণ স্বীকার করছে। তাঁর প্রেরণা ইন্দিরা গান্ধী। ৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনার হাতে নির্যাতিত, নিরাশ্রয়, এক কোটির বেশি বাঙালির জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে যিনি মানবতাকেই দেশের স্বার্থের উপরে স্থান দিয়েছিলেন।

কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্টদূত আন্দালিব ইলিয়াস পাঁচ বছর আগে উত্তাল সাগর আর বহাল টেকনাফ নদী পেরিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পিল পিল করে তাঁদের দেশের ঢুকে পড়ার দিনগুলির প্রসঙ্গ টেনে বলছিলেন, ‘সেই সব দিনে আমরা অফিসারেরা খানিক বিচলিত। কী করণীয় বুঝে উঠতে পারছি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অভয় দিয়ে বললেন, ওদের আসতে দাও। আমি যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তা হলে কয়েক লাখ নিপীড়িত মানুষের পেটেও ভাত জোগাতে পারব। প্রয়োজনে ভাগ করে খাব।’
সেই কয়েক লাখেরা সংখ্যায় দশ-বারো লাখের কম নয়। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে লাখ দুই শিশু, যারা ভূমিষ্ঠ হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশের গত জুলাইয়ে জনশুমারি রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে দেখি, কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যা ২৮ লাখের কিছু বেশি। তার মধ্যে শহরাঞ্চলে বাস লাখ বারোর। আড়াই হাজার বর্গ কিলোমিটারের (আমাদের উত্তর ২৪ পরগনার অর্ধেক) সেই ছোট্ট জেলাতেই ভাসানচর, টেকনাফ, উখিয়ার শরণার্থী শিবিরে বাঁশ, টিন, দরমা, প্লাস্টিকে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা ঘিঞ্জি সব ঘরে বাস করেন আরও লাখ বারো-তেরো মানুষ, মায়ানমার সরকার যাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার নামগন্ধ করে না।

তখনই শেখ হাসিনার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মেহমুদ আলি কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘আমরা আর কত কাল ওদের ভার বইব, বলতে পারেন? দুঃসময়ে আশ্রয় দিয়েছি। ফেরত পাঠানোর দায়টা কি শুধু আমাদের?’ তার পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। দেশের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাছান মামুদকে তাই বলতে হচ্ছে, ‘রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কাছে।’
পাঁচ বছর আগে
গুরুত্বপূর্ণ খবরের সন্ধানে যাওয়া জায়গাগুলি ফিরে দেখায় আমার বিশেষ আগ্রহ। কুতুপালংয়ে প্রথম গিয়েছিলাম বছর পাঁচ আগে, ২০১৮-এর এপ্রিলে। শরণার্থীর স্রোত তখনও থামেনি। ঘর বাঁধা চলছে বহু পরিবারের। তারই মধ্যে অবাক করা কর্মচাঞ্চল্য, সদ্য গজিয়ে ওঠা হাট-বাজার, পাঠশালা-স্কুল, টিকাকরণ ক্যাম্প-স্বাস্থ্যপরীক্ষার শিবির, হাতের কাজের প্রশিক্ষণ— জীবনের জয়গান। চাল-ডাল-তেল-নুন-পোশাক-সাবান-ডিটারজেন্ট-পাউডার-বেবিফুড-স্যানিটারি ন্যাপকিন-টিকা-ট্যাবলেট-ক্যাপসুল-জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি-কনডোম— বিলি বণ্টনের আন্তর্জাতিক মহাযজ্ঞ, আশ্রয়প্রার্থী অনেকের কাছেই যা ছিল নতুন অভিজ্ঞতা, বলেছিলেন শিবিরের যুবা পরিচালক শামসুল হক পাভেল।

বয়স বিশের কোঠা পেরনোর আগেই তিন-চার সন্তানের মা রাশেদা, রেহানা, মুসরানারা বলেছিলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, কনডোম, এসব তারা আগে চোখেও দেখেনি। মায়ানমারে কখনও কোনও হাসপাতাল চাক্ষুষ করার সৌভাগ্যটুকুও হয়নি। সত্যি কথা বলতে কী, অনেকেই অকপটে বলেছেন, ভিটেমাটি ছেড়ে আসতে হয়েছে বটে, কিন্তু আশ্রয় শিবিরের সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে আসা দেশের থেকেও ভাল। স্বদেশে পেটে খিদে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটত, এই বুঝি পালে পালে সেনা আসে!
এবার গিয়ে দেখলাম, পাঁচ বছরে দৃশ্যপট অনেকটাই বদলে গিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সহযাত্রী সাংবাদিক বন্ধুদের, শিবিরের পাঁচ বছর আগের যে বর্ণনা দিয়েছিলাম, তার অনেকটাই আর চোখে ধরা পড়ল না। আমাদের গাড়ি বহর দিব্যি হনহন করে ঢুকে গেল শিবিরের অফিস ঘরের উঠোনে। বেগ পেতে হল না গাড়ি ঘোরাতেও। সেবার অভিজ্ঞতা হয়েছিল উল্টো। শিবিরের ইটপাতা রাস্তায় গাড়ির সারিতে বারে বারেই থমকে যাচ্ছিল আমাদের কনভয়। নানা দেশের ত্রাণের গাড়ির ভিড়ে হার মেনেছিল ঢাকার যানজটের গোলকধাঁধাও।
সে বার যে পাঁচতারা হোটেলটিতে উঠেছিলাম, এ বার সেখানে লাঞ্চ সারতে গিয়ে দেখি বিদেশি এনজিও কর্তাদের চেনা ভিড় উধাও। যাঁদের অনেকেই তখন বলতেন, মায়ানমার ফেরত না নিলে, গোটা পৃথিবী রোহিঙ্গাদের জন্য পড়ে আছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে হোটেল ম্যানেজারের আক্ষেপ, ‘আমাদের এখানে ঘরভাড়া নিয়ে চলা এনজিও-র অফিসগুলি সেই করোনার সময় থেকে বন্ধ।’ শিবিরের হতশ্রী চেহারা দেখে, আগেই অবশ্য এটা অনুমান করেছিলাম। বাংলাদেশ সরকার দুরবস্থার কথা গোপন করছে না। সরকারি কর্তারা অকপটে বলছেন, ‘আমরা পেরে উঠছি না। এত মানুষের ভরণপোষণ এখন সাধ্যের অতীত।’
পশ্চিমি দেশগুলির দুয়ার কতটা খোলা, কেমন খোলা, সেই নমুনা তুলে ধরতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তার উপহাস, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে ওদের দরদের নমুনা তবে শুনুন, তিন বছর ধরে আলোচনার পর কানাডা এই তেরো-চোদ্দো লাখের থেকে তিন জনকে নেবে বলেছে। আর কোন তিনজন নেবে তা বাছাই করতে মাসের পর মাস ধরে শুধু মেল চালাচালি চলছে।’ আরও বললেন, ‘দুঃখের কথা কী বলব, এই সব দেশ আমাদের জ্ঞান দেয় কী ভাবে রোহিঙ্গাদের আরও ভাল করে রাখা যায়।’ মিলছে যদিও অকুণ্ঠ প্রশংসাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক দফতরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু যেমন গতকাল রবিবারই ঢাকায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায়।

গৃহযুদ্ধের মুখে কুতুপালং
রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী কল্যাণ সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর গত জুলাইয়ের রিপোর্ট বলছে, ‘বাংলাদেশের শিবিরগুলিতে রোহিঙ্গা জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ শিশু-কিশোর। ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসড মায়ানমার ন্যাশনাল তকমা নিয়ে এই বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোর-তরুণকে ক্যাম্পের বদ্ধ পরিবেশে আটকে রাখায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যাদের অধিকাংশ কেবল সমাজবিরোধী কাজকর্ম নয়, পড়ালেখা এবং কল্যাণমূলক কাজের বদলে মাদক-অস্ত্র ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুললে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।’
বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। ক্যাম্পে খুন, কথায় কথায় মারামারি, হাতাহাতি লেগে আছে। চোরাচালান, মাদকের কারবার বেড়েছে। তার থেকেও বিপদ হল মৌলবাদী তৎপরতা। ঢাকা, চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের মতে, এই বিপদটা গোটা উপমহাদেশের। পুলিশ-প্রশাসন-সীমান্ত রক্ষী মারফত তাঁরা খবর পাচ্ছেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে এখন পাকিস্তানের হাতে খেলছে। এক দিকে, মায়ানমার সেনার সঙ্গে তাদের লড়াইয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে দেশে থেকে এত কাল কোনওরকমে ভিটে আগলে থাকা রোহিঙ্গাদের। মায়ানমার মিলিটারি এআরএসএ-র সঙ্গে লড়াইয়ে তাদের ক্ষয়ক্ষতির বদলা নেয় কোনও না কোনও রোহিঙ্গা মহল্লা নিকেশ করে দিয়ে। কূটনৈতিক শিবিরের অনেকে বলছেন, এআরএসএ এবং মায়ানমার সেনার যুদ্ধটাও নকল। এই প্রাইভেট আর্মি আসলে মায়ানমার সরকারেরই তৈরি।
দেশে ফিরতে চাওয়া রোহিঙ্গাদের শিবিরে শিবিরে ঘুরে নিরুৎসাহ করছে, ভয় দেখাচ্ছে, সংগঠনে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে, টাকা তুলছে এআরএসএ। দেশে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় বিলীন হয়ে যাওয়ায়, শিবির ছেড়ে ডিঙি নৌকোয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আন্দামানে যেতে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উত্তাল সমুদ্রে ডুবে মরা একপ্রকার নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাব অনুযায়ী, বিগত বছর সমুদ্রে ডুবে মৃতদের তালিকায় রোহিঙ্গাদের ধারেকাছে নেই আর কোনও জাতি, যেমনটা ঘটেছিল পাঁচ বছর আগে তারা স্বদেশ ছেড়ে আসার সময়।
নিষিদ্ধ এআরএসএ-র কমান্ডার-ইন-চিফ পাকিস্তানের করাচির আদি বাসিন্দা আতাউল্লাহ আবু আম্মান জুনুনি স্বয়ং দাবি করছেন, তিনি হেঁটে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে এসে দু’রাত কাটিয়ে, ঘুরে ঘুরে বৈঠক করে গিয়েছেন। তিনি সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বলছে, পাক ষড়যন্ত্রের নকশা হল, এআরএসএ-কে সামনে রেখে নিরাশ্রয়, দেশহীন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ও ভারতের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিয়ে নাশকতা চালানো এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা। ফলে বিপদ যে শুধু বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনার নয়, ভারতের এবং নরেন্দ্র মোদীরও, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের তাই হাত গুটিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। ঢাকার কূটনৈতিক মহলের দাবি, গত বছর ভারত সফরে এসে শেখ হাসিনা সে কথা নরেন্দ্র মোদীকে বলে গিয়েছেন।
কী ভাবছে নয়াদিল্লি?
ভারত শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক ঘোষণার স্বাক্ষরকারী দেশ না হয়েও তিব্বতি, হিন্দু পাকিস্তানি, শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে বিতাড়িত তামিল ভাষাভাষীদের আশ্রয় দিয়েছে। ত্রাণ শিবিরে তাদের রেশন-সহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া না পর্যন্ত তাদের প্রতিও সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি নিক ভারত সরকার, চান মানবাধিকার কর্মীরা। এই দাবিতে গলা মেলাচ্ছেন মায়ানমারে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বিবেক কাটজুও। তাঁর কথায়, ‘শরণার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ন্যূনতম সুবিধাগুলি দেওয়া আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির অঙ্গ।’
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, ভারতের উচিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মায়ানমার সরকারের উপরে চাপ তৈরি করা।
মায়ানমারের সুবিধা হল, চিন এবং ভারত, দুই বৃহৎ শক্তিই তার মিত্র। নয়াদিল্লির সমস্যাটিও কম জটিল নয়। মায়ানমারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলে, সে দেশের সেনা শাসকেরা আরও বেশি করে চিনের দিকে ঝুঁকবে, তাই-ই শুধু নয়, শান্ত উত্তর-পূর্ব ভারতকে ফের অশান্ত করা সুযোগ পেয়ে যাবে বেজিং।

ভারতের স্বার্থের এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই বাংলাদেশ সরকার দুষছে সেই সব পশ্চিমি দেশকে, যারা বড় মুখ করে বলেছিল, পাশে আছি। তথ্যমন্ত্রী হাছান মামুদের আক্ষেপ, ‘আন্তর্জাতিক সমাজ ইউক্রেনের শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে ব্যস্ত। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের ওরা শুধু জ্ঞান দেয়।’
রোহিঙ্গাদের দিল্লিতে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলেও পিছু হঠল কেন্দ্র